হাসান : কচুয়ার সাচার বাজারে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে নগদ অর্থ ও মালামালসহ প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানায়। আগুন নিভাতে গিয়ে দাউদকান্দি ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান জুয়েল, ব্যবসায়ী উৎফলসহ ৫ জন আহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউদ্দিন আহমেদ সুমন, কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন মজুমদার, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলদার আজাদ(তদন্ত), উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরুন্নবী মজুমদার, ১নং সাচার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ ওসমান গনি মোল্লা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। অগ্নিকান্ডের ঘটনা স্থলে জানাযায়, কচুয়ার সাচার বাজারে বৃহস্পতিবার দুপুর আনুমানিক ১ ঘটিকার সময় বশির কারীর লেপ-তোষকের দোকান থেকে বৈদ্যুতিক সর্ক সার্কিটের সূত্রপাতে আগুনের সূত্রপাত ঘটে, মূহূর্তের মধ্যে আগনের লেলিহান চারপাশে ছড়িয়ে গিয়ে আশপাশের দোকানে আগুন লেগে যায়। বাজারের পানির পাম্প ও কচুয়া, হাজিগঞ্জ ও কুমিল্লার দাউদকান্দির ফায়ার সার্ভিস প্রায় ২ ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হয়।
এরই মধ্যে শ্যাম পোদ্দারের হাড়ি পতিল ও প্লাষ্টিকের দোকান, কৃষ্ণ দাসের ইলেকট্রিক দোকান, অমর কৃষ্ণের কসমেটিকস দোকান, স্বপনের সিলভার দোকান,বশির কারীর লেপ তোষকের দোকান, মোরশেদ এর লেপ তোষকের দোকান, ফয়েজ আহম্মেদের বীজ ও কীট নাশকের দোকান, মনিরের সূতা ও জোতার দোকান, ফজলূর ড্রম দোকান, আবু ছিদ্দিকের সূতার দোকান, লিটন পালের সিলভার দোকান, সাহাজানের লেপ-তোষকের দোকান,সুভাষ ডাক্তারে ঔষধের ফার্মেসী,সোলমানের সার ও কীট নাশকের দোকান,খালেক ডিলারের সার ও কীট নাশকের দোকান,হুমায়ুনের হলুদ মরিচের দোকানসহ ১৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে নগদ অর্থ ও মালামালসহ প্রায় ১কোটি টাকার মালামাল ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ২০১১ সালের ২৪ জানুয়ারী এবং একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর সাচার বাজারে অগ্নিকান্ডে প্রায় ৪০ দোকান পূড়ে ছাই হয়ে যায়। এক বছরের মাথায় গতকাল ২৭ ডিসেম্বর আগুনে আবার ১৫ দোকান পুড়ে যায়।সাচার বাজারে বার বার আগুনের কারণ হিসেবে বাজার ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন জনে বলাবলি করছে, বাজারে মদ, গাজা, জুয়া ভিডিও চিত্রে অশ্লীল ছবি প্রদর্শনসহ বাজারে বৈদ্যুতিক অবৈধ সংযোগ অগ্নিকান্ডের কারণ।