খোরশেদ আলম শিকদার ঃ
চাঁদপুরের কচুয়ায় ৪দিন ধরে বিদ্যুৎ নাই। ফ্রিজের মাছ,মাংস,দধি,মিষ্টিসহ সবকিছু পঁচে গেছে। অচল হয়ে গেছে বিদ্যুৎ নির্ভর সকল কার্যক্রম। মানুরে ভোগান্তি আর ভোগান্তি। কোথায় সমস্যা খুঁেঁজ না পাওয়ায় মেরামত করতে পারছেনা বিদ্যুৎ কর্মীরা।
জানাযায়, ১৭ ও ১৮ মে দিনে ২ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহের পর ১৯ মে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর থেকে ২২ মে পর্যন্ত একটানা ৪দিন ধরে কচুয়ায় বিদ্যুৎ নাই। বিদ্যুৎ না থাকায় বিদ্যুৎ নির্ভর হাসপাতালের এক্সরে.আল্ট্রাসনোগ্রাম,অপারেশন থিয়েটার,সমিল,রাইসমিল,ফটোষ্ট্যাট মেশিন,কম্পিউটার,ল্যাপটপ,মোবাইলের চার্জদেয়াসহ বিদ্যুৎ নির্ভর সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মানুষের ভোগান্তির চরমে পৌছে গেছে। কচুয়া পল্লী বিদ্রƒৎ অফিসের ডিজিএম জাকির হোসেন জানান, বিদ্যুৎ এর কোথায় সমস্যা তা খুঁজে বের করতে পারছিনা। দিনরাত কাজ করে যাচ্ছি।
এদিকে কচুয়ার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান,বর্তমান ডিজিএম জাকির হোসেন কচুয়ায় যোগদানের পর থেকে কচুয়ায় বিদ্যুৎ সমস্যা চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে কচুয়ার উত্তরাঞ্চলে তিনি বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে বৈষম্যতা করেন। গ্রাহকরা বলেন, কচুয়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম বিদ্যুৎ নিয়ে বৈষম্যতা করছেন। একই উপজেলায় কেউ বিদ্যুৎ পায় আবার কেউ দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকতে হয়। কচুয়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএমের একই উপজেলায় ২ রকম নীতিতে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা তার ওপর ফুঁসে ওঠেছে।
ভোক্তভোগী পল্লী বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের আওতায় কচুয়া জোনাল অফিসের ডিজিএম জাকির হোসেন তার নিজের খেয়াল খুশীমত কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার অভিযোগ ওঠেছে। বিশেষ করে কচুয়া পৌরসভার উত্তর পাশে বিদ্যুৎ সরবরাহ না করে তিনি এ বৈষম্যতা করেন বলে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান। ১নং সাচার ইউপি, ২নং পাথৈর, ৩নং বিতারা, ৪নং পূর্ব সহদেবপুর, ৫ নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউপির বিভিন্ন বাজার ও গ্রামে ২দিন ৩দিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ দেয়া হলেও বড় জোড় ১ ঘন্টা থেকে সোয়া ঘন্টা থাকে । এর মধ্যে যদি ঝড় তুপান হয় তাহলেতো ৩/৪দিনেও বিদ্যুৎ চোখে দেখা যায়না। বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে বলেন- তার ছিড়ে গেছে,খাম পড়ে গেছে, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে সমস্যা এসব বলে বলে ৩/৪দিন পাড় করে দেয়।
কচুয়া পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এ বৈষম্যতার কারনে ঐ এলাকার সাচার বাজার, রাগদৈল বাজার, বারৈয়ারা বাজার,বায়েক বাজার, পালাখাল বাজার,মাঝিগাছা বাজার, বিতারা বাজার, বাইছারা বাজার, আলীয়ারা বাজার, শুয়ারোল বাজার, মধুপুর বাজার,তারনী বাজার ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। ঐসব বাজারের ক্লিনিক/হাসপাতালে এক্সরে মেশিন, আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন সমিল, কম্পিউটারসহ বিদ্যুৎ নির্ভর সকল ইলেকট্রনিক্স এমনকি মোবাইল চার্জ হবে এমন বিদ্যুৎ ও সরবরাহ করা হয়নি।
এসব বাজারের মিষ্টি দোকানের মিষ্টি, দধি পঁেচ গলে যায়। অথচ কচুয়ার অন্যান্য স্থানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২/১ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে বাকী ২২ ঘন্টাই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এক উপজেলায় এরকম ২রকম নীতির কারনে ভোক্তভোগী গ্রাহকরা কচুয়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম জাকির হোসেনের অপসারনের দাবীতে সাচার-কচুয়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ১৮ মে বুধবার ভোর ৭টায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর বিকেল ৫ টা ১৫ ঘটিকা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে । ভোক্তভোগী গ্রাহকরা কচুয়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের বৈষম্যতার শাস্তির দাবীতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড.মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের জেনারেল ম্যানেজারের আশু হস্তক্ষেপ চেয়েছেন।