কচুয়া প্রতিনিধি
কচুয়ায় এক বৃদ্ধের লালসার শিকার হয়েছে ১২ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার রাতে ৭ মে উপজেলার শংকরপুর গ্রামে শ্লীলতাহানীর এ ঘটনা ঘটে। সে শংকরপুর আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনায় বখাটে বৃদ্ধ হারুন-অর-রশিদের পুত্র আব্দুল কাদের (২১) ও এলাকাবাসী এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, উপজেলার শংকরপুর গ্রামের কামাল হোসেন তার স্ত্রী মিনুরা বেগম ও ৪ অবুঝ মেয়েকে রেখে প্রায় ৭বছর পূর্বে সৌদিআরবে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। কামাল হোসেন মারা যাওয়ার পর একই গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র বিয়ে পাগল বখাটে হারুন-অর-রশিদ (৫০)-এর চোখে পড়ে বিধবা মিনুরা বেগমের উপর।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, হারুন অর রশিদ বিভিন্নভাবে ফুসলিয়ে মিনুরা বেগমকে প্রায় দু’বছর পূর্বে বিয়ে করে। পরে অসহায় ওই ৪ অবুঝ সন্তানদের তার আপন ভাই শহীদ উল্যাহর স্ত্রী হনুফা বেগম লালন পালন করে আসছে। ঘটনার দিন রাতে মাদ্রাসা ছাত্রী তার অপর ৩ বোনদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লে লম্পট হারুন অর রশিদ ঘরের ভেলকি ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তার শ্লীলতাহানীর চেষ্টা করে বলে ওই ছাত্রী জানায়।
পরে তার ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে লম্পট হারুন অর রশিদ পালিয়ে যায়। শ্লীলতাহানীর শিকার অসহায় পরিবারের ওই মেয়েটি যাতে থানা ও আদালতে মামলা না করে সে জন্য তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। ঘটনার পর থেকে লম্পট হারুন অর রশিদ এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে। এছাড়া বর্তমানে অসহায় ওই ৪ নাবালিকা মেয়েদের আশ্রয় দেয়ায় শারীরিক প্রতিবন্ধী শহীদুলের স্ত্রী হনুফা বেগমকে অভিযুক্ত হারুনুর রশিদের পুত্র আঃ কাদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলেও স্থানীয়রা জানিয়েছে।
সরেজমিনে ভুক্তভোগী মেয়েটি’র চাচী হনুফা বেগম, নানী শুক্কুর জাহান, ফুফু সুফিয়া বেগম, ভাবী মাহফুজা বেগমসহ এলাকার বেশকিছু লোকজন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে লম্পট হারুন অর রশিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। এলাকাবাসী আরো জানায়, হারুন অর রশিদের স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও মৃত কামাল হোসেনের স্ত্রীকে বিয়ের নামে তার সাজানো সংসারকে ধ্বংস করে দেয়। অভিযুক্ত হারুন অর রশিদের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার পুত্র আঃ কাদের জানান, এটি একটি ষড়যন্ত্র। আমার বাবা অভিযুক্ত হলে আমিও তার শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে শংকরপুর গ্রামের অধিবাসী মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি সিরাজুল ইসলাম মাস্টার ও সমাজসেবক আঃ হামিদ মৃধা জানান, শিশুটির শ্লীলতাহানীর বিষয় শুনেছি এবং ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষ থেকে বিচার প্রার্থনা করা হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন মজুমদার জানান, শংকুরপুর গ্রামে জনৈক মাদ্রাসা ছাত্রী শ্লীলতাহানীর বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিরোনাম:
সোমবার , ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৮ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।