কচুয়া উপজেলার কান্দিরপাড় গ্রামের অধিবাসী চাপাতলী মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ ছাত্র মিলন (১২) নির্মম হত্যার শিকার হয়েছে। তার ঘাতক একই গ্রামের (কান্দিরপাড়) তিন মাদক সেবী যুবক সোহাগ (২০), রাব্বি (২১) ও শামীম (১৯) কে আটক করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে মিলনের অর্ধগলিত লাশ তার বাড়ি থেকে প্রায় ৩‘শ গজ দক্ষিন পশ্চিমে একটি গভীর নলকূপ সংলগ্ন ধৈঞ্চা ক্ষেত থেকে কচুয়া থানার পুলিশ উদ্ধার করেছে।
জানাযায়, ২৯ জুন সোমবার বিকালে প্রধানিয়া বাড়ীর হতদরিদ্র তাজুল ইসলামের পুত্র মিলন বাড়ি থেকে বের হয়ে ঘরে ফিরে না আসায় পরের দিন মঙ্গলবার কচুয়া থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে। যার নং ১২৩৩। মিলন নিখোঁজ হওয়ার পর তাদের বাড়ির উল্লেখিত হত্যা কান্ডে জড়িত শামীমের চলাফেলা ও কথাবার্তায় স্থানীয় লোকজনের সন্দেহ হলে বুধবার রাতে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ওই দু’জন সহ তারা মিলনকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে। শামীমের স্বীকারক্তি মোতাবেক স্থানীয় জনতা সোহাগ ও রাব্বিকে ধরে এনে গনপিটুনি দেয় এবং পুলিশের নিকট সোপর্দ করে। মিলনের পরিবারের সদস্যরা দাবী করছে- পূর্ব শক্রুতার জের ধরে ওই মাদক সেবী বখাটে যুবকরা ভাড়াটিয়া হিসেবে মিলনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে ।
মিলনের চাচা বাবুল হোসেন জানান, মিলন নিখোঁজ হওয়ার পর একটি মোবাইল থেকে ইন্টারনেট নাম্বারে তার মুক্তিপন বাবদ ৩ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। স্থানীয় লোকজনরা দাবী করে যে মোবাইল থেকে চাঁদা দাবী করেছে সে মোবাইল টি খুনি সোহাগের মার নিকট আছে। এ দাবীর প্রেক্ষিতে পুলিশ তা উদ্ধারের জন্য সোহাগের বাড়ীতে গেলে তার মা সহ পরিবারের কোন সদস্যকে পাওয়া যায়নি। তারা ঘরের তালা বন্ধ করে পালিয়ে যায়।
পুলিশের ধারনা-মিলনকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। মিলনের লাশ উদ্ধারের সময় স্থানীয় শত শত লোকজন ভিড় জমায়। এদিকে পুত্রের শোকে তার মা ও পরিবার সদস্যদের আহজারিতে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠে। মিলন হত্যার ব্যাপারে কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং-০২। কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইব্রাহিম খলিল জানান, মামলা তদন্তের স্বার্থে ও ম্যাজিষ্ট্রেটের নিকট জবানবন্দি দেয়ার প্রয়োজনে গ্রেফতারকৃতদেরকে কোর্টে সোপার্দ করে রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।
শিরোনাম:
শনিবার , ২৪ মে, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।