কচুয়ায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া ৮ বছরের এক শিশু কন্যা বখাটে যুবক মাছ ব্যসায়ীর লালসার শিকার হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ৬নং উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের লতিফপুর-নাহারা গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় ভুট্টা ফসলি জমিতে এ ঘটনা ঘটে। এতে উত্তেজিত গ্রামবাসী বখাটে হেঞ্জু মিয়া (৩২) আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে কচুয়া থানার এসআই মোঃ ওয়াজেদ আলী উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বখাটে হেঞ্জু মিয়াকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। হেঞ্জু মিয়া কচুয়া পৌরসভাধীন কড়ইয়া প্রধানীয়া বাড়ির মনু মিয়ার পুত্র।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে লতিফপুর গ্রামের রিক্সাচালক কবির হোসেনের দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়–য়া কন্যা (৮) ও তার চাচাত ভাই রাকিব পার্শ্ববর্তী নাহারা গ্রামে তার ফুফু রাজিয়া বেগমের বাড়ি যাচ্ছিল। এসময় বখাটে হেঞ্জু মিয়া মাছ বিক্রি করে বাড়ি ফেরার সময় তাদেরকে ফুসলিয়ে রাস্তা সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে ভুট্টার ফসলি জমিতে নিয়ে যায়। সেখানে ওই শিশুটিকে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এ ব্যাপারে কচুয়া থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি মোঃ সামছুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশুটিকে উদ্ধার করে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এবং অভিযুক্ত যুবক হেঞ্জু মিয়াকে জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে কচুয়া থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত শিশু ও নারী নির্যাতন ধারায় কচুয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।