খোরশেদ আলম শিকদার ঃ
সড়ক ও জনপথের চাঁদপুরের কচুয়া-ঢাকা-হাজিগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা। ঝুঁকি নিয়ে কচুয়া-সাচার-গৌরীপুর সড়ক দিয়ে বাস, ট্রাক, সিএনজি চলাচল করলেও সড়ক ও জনপথের কচুয়া-হাজিগঞ্জ সড়কটি অলস পড়ে আছে। এ রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি এখন চরমে।
সড়ক ও জনপথের কচুয়া-সাচার-গৌরীপুর সড়কটি ১ বছর ধরে ক্ষত বিক্ষত হয়ে মরন ফাঁদে পরিনত হয়ে আছে। সড়কের বারৈয়ারা থেকে বাতাপুকুরিয়া পর্যন্ত মেরামতে দায়িত্বরত ঠিকাদার কচ্ছপ গতিতে কাজ করে প্রায় ৬ মাস পর্যন্ত সময় নিয়েছে। এই ধীর গতিতে কাজ করা হলে কচুয়া পর্যন্ত সড়কটির কাজ করতে আরো ৬ থেকে ৭মাস সময় লাগতে পাড়ে। এতে করে সড়ক দিয়ে হাজার হাজার জনগনের অকল্পনীয় ভোগান্তি হবে।
এদিকে সড়ক ও জনপথের কচুয়া থেকে হাজিগঞ্জ পর্যন্ত সড়কটিও ক্ষতবিক্ষত হয়ে ১ বছর যাবত পড়ে আছে। সড়কটির মাঝখানে ১ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করা হলেও ২ পাশের রাস্তা ক্ষতবিক্ষতই রয়েছে।
জানাযায়, সড়কগুলো সংস্কার কাজে বিগত দিনের দায়িত্বরত ঠিকাদাররা সিডিউল মোতাবেক কাজ না করে ঘষামাজা কাজ করার ফলে কাজের ১০দিনের মাথায় রাস্তা ভাংগা শুরু হয়ে দীর্ঘ ১ বছর যাবত রাস্তাটি ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।
রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের চালকরা সাংবাদিককে ছবি তুলতে দেখে বলেন, সাংবাদিক ভাই রাস্তার জন্য কিছু একটা লিখেন, আমরা আর পারছিনা, শুধু পেটের দায়ে গাড়ি চালাই। মনটায় চায় গাড়ি রাস্তায় ফেলে চলে যাই। তারা আরো বলেন,সারাদিন কষ্ট করে গাড়ি চালাই আর যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়। দিনের শেষ হিসাব মিলিয়ে দেখি দৈনিক পকেট থেকে ২ থেকে ৪শ টাকা ঘাটতি হয়। ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানায়,আমরা রাস্তার বেহাল দশার কারনে রোগীদের কোথাও চিকিৎসা দিতে নিতে পারিনা। ঘরে রেখেই তাদের মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করতে হয়। ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা সিডিউল মোতাবেক রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করার দাবী জানান।
শিরোনাম:
বুধবার , ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।