চাঁদপুর: করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে চাঁদপুর জেলা হয়ে উঠে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ। লকাডাউন শুরু হলে সরকারি বিধি নিষেধ মানতে দেখা যায়নি অনেক শ্রেণী পেশার মানুষদেরকে। কঠোর লকডাউনে একই অবস্থা। প্রতিদিনই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শহরের পাড়া মহল্লায় মানুষের চলাচল। অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অর্ধেক খুলে চালিয়েছেন ব্যবসা।
শনিবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১১টায় শহরের নিউ ট্রাক রোড, বাগাদী রোড, জেএম সেনগুপ্ত রোড, নতুন বাজার, হাজী মহসীন রোড, কালীবাড়ী, কুমিল্লা রোড, স্ট্যান্ড রোড, বড় স্টেশন এলাকা ঘুরে অহরহ মানুষের বাহিরে ঘুরাঘুরি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা দেখাগেছে।
এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান হকারদের দোকানে ও ফুটফাতের দোকানগুলোতে জটলা বেধে বিভিন্ন খাদ্যপন্য ক্রয় করতে দেখাগেছে। স্ট্যান্ড রোডের অনেক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে রাখতে দেখাগেছে। যারা এই শহরের বিভিন্ন সামাজিক কাজে জড়িত এবং অনুষ্ঠানে গিয়ে প্রশাসনের লোকদের সামনে গলাবাজী করে বক্তব্য দেয়।
করোনা উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা চাঁদপুরে কিভাবে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দরকার এই বিষয়ে কয়েকজন সাংবাদিক ও শিক্ষকের সাথে কথা বললে তারা জানান, মূলত মানুষের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হয়নি। করোনার ভয়াবহতা অনেকের মাঝে এখনো কিছুই না। তারা এটাকে পাত্তাই দিচ্ছেন না। যার কারণে প্রশাসনের লোকজন নানা প্রদক্ষেপ নিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। লকডাউন না করে এই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য সামাজিকভাবেই কাজ করা দরকার। প্রতিটি পাড়া মহল্লায় এই বিষয়ে সচেতনা গড়ে উঠলে করোনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কারণ আমরা দেখেছি অনেক সময় পাড়া মহল্লায় চুরি কিংবা ডাকাতির ঘটনা ঘটলে রাত জেগেও মানুষ পাহারা দেয় এবং প্রতিরোধে ঘড়ে তুলেন।
এদিকে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুর জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০৩জন। প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। লকডাউনের চতুর্থদিনে বড় ধরণের যানবাহন চলাচল না করলেও রিকশা, অটোরিকশা ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলতে দেখাগেছে।
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট/চাঁদপুরনিউজ/