মতলব দক্ষিন :-
মতলব দক্ষিণ উপজেলার আচঁলছিলা গ্রামের বাসিন্দা আলী হোসেন প্রধান এর ছেলে সাইফুল ইসলাম তার ১২ বছরের মেয়ের পেট ব্যথার কারণে নারায়নপুর,মতলব এমকি চাঁদপুরের অনেক ডাক্তারের কাছে গিয়ে অনেক চিকিৎসা করার পর কোন সুফল না পেয়ে অবশেষে একই উপজেলার নাগদা গ্রামের কবিরাজ জোহর আলী এর কাছে সরনাপন্ন হয়। কবিরাজ জোহর আলী সাইফুল এর মেয়ের সমস্যার কথাশুনে ভাল করে দেবার চ্যালেঞ্জ করে এবং সাড়ে চার হাজার টাকার চুক্তি করে।সেই মোতাবেক ঝাড়ফু,পানি পড়া এবং মোবাইল এর মাধ্যমে ফু দিতে থাকে আর এইভাবে চলতে থাকে বেশ কয়েক দিন।কিন্তু সাইফুলের মেয়ের পেটের ব্যাথা কিছুতেই কমে না। তাই সাইফুল তার মেয়ের চিকিৎসা অন্যত্র করার জন্য বব্যস্থা করে এবং কবিরাজ জোহর আলীর নিকট চুক্তিকৃত সাড়ে চার হাজার টাকার মধ্যে অর্ধেক টাকা ফের দিতে বলে যেহেতু তার মেয়ের চিকিৎসার কোন উন্নতি হয়নি।কবিরাজ জোহর আলী টাকা ফেরত দেব দিচ্ছি বলে বেশ কয়েক দিন সাইফুলকে গুরাতে থাকে।এই নিয়ে গত ২৮ সেপ্টম্বর সাইফুল এর শ্বশুরবাড়ী ডুলীয়াপাড়া ব্রীজ এর নিকট কবিরাজ জোহর আলী ও তার ছেলে আয়েত আলীর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্ষায় ধ্বাক্কাধাক্কি হয়।পরে কবিরাজের ছেলে আয়েত আলী ফোন করে কিছু লোক নিয়ে সাইফুল এর শ্বশুরবাড়ীতে গিয়ে তার হাতে থাকা র্টচলাইট দিয়ে সাইফুলকে মাথায় আঘাত করে এতে সাইফুল রক্তাক্ত হয়।আঘাত প্রাপ্ত সাইফুলের রক্ত দেখে ঐ এলাকার লোকজন কবিরাজ জোহরর আলী ও তার ছেলেকে মারধর করার প্রস্তুত হলে ডুলীয়াপাড়ার কিছু লোকজন বাপ-ছেলেকে ডুলীয়াপাড়া ব্রীজের নিকট মাদ্রাসায় আশ্রয়দেয় এবং মতলব দক্ষিণ থানায় খবর দেয়।খবরপেয়ে এএসআই রতন ও সঙ্গীয় ফোর্স ঘটনার স্থানে গিয়ে বাপ-ছেলেকে উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসে।থানায় আনার পর নাদগা গ্রামের সাবেক মেম্বার বিল্লাল খান ছাড়াও রতন পাঠান,লিটন সরকার,হারুনসহ স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তি নিজেদের জিম্মায় নিয়ে আসে এবং এই ঘটনার বিচার এলাকা ভিত্তিক করার সিদ্বান্ত নেয়।আহত সাইফুল ইসলাম বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্এে ভর্তি রয়েছে।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ৪ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ , ১৯ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।