জেলায় ১১ ও প্রতি উপজেলায় ১০ সদস্যের কমিটি গঠন, প্রস্তুত রাখা হয়েছে আইসোলেন বেড, প্রয়োজনীয় ঔষধ ও কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা। জনসচেতনতা বিষয়ে প্রচার ও লিফলেট বিতরণ, আক্রান্ত থেকে বাঁচতে সবাইকে ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা এবং মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ সিভিল সার্জনের
বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক সৃষ্টিকারী নভেল করোনা ভাইরাস (কোভিড ১৯) বাংলাদেশে
ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরেও জেলা
পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। চাঁদপুরে করোনা ভাইরাস
প্রতিরোধে সতর্কতামূলক প্রস্তুতির জন্যে মেডিকেল টিম গঠন করার পাশাপাশি
জেলা পর্যায় ১১ ও প্রতি উপজেলায় ১০ সদস্যের কমিটি গঠন হয়েছে। প্রস্তুত রাখা
হয়েছে আইসোলেন বেড ও প্রয়োজনীয় ঔষধ। চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ
সাখাওয়াত উল্লাহ এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, জেলা হাসপাতালে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙ্
েবিশেষায়িত আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আক্রান্ত কোনো রোগী
সনাক্ত হলে সেখানে তার চিকিৎসা দেয়া হবে। ২৫০ শয্যার চাঁদপুর জেলা
হাসপাতালে এ রোগের জন্যে ৫টি আইসোলেন বেড এবং উপজেলা পর্যায়ে ৩টি করে বেড
প্রস্তুত রাখাসহ প্রয়োজনীয় ঔষধ মজুদ রয়েছে। কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করা
হয়েছে। এক্ষেত্রে আশ্রায়ন প্রকল্পের স্কুল অথবা হোস্টেল (আবাসিক) খালি রাখা
হবে। জনসচেতনতার বিষয়ে প্রচার ও লিফলেট বিতরণ করা হবে। এছাড়া বেসরকারি
হাসপাতালে ১০ বেডের ১টি এবং ২০ বেডের ২টি আইসোলেন ইউনিট প্রস্তুত রাখার
নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত জেলা পর্যায়ে মিটিং গত ৫ মার্চ
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম জাকারিয়ার সভাপ্রধানে করা হয়েছে। ওই
মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ডিসি সভাপতি ও সিভিল
সার্জনকে সদস্য সচিব করে ১১ সদস্যের জেলা কমিটি এবং ইউএনও সভাপতি ও
ইউএইচএফপিওকে সদস্য সচিব করে ১০ সদস্যের উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ বিষয়ে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করা হবে।
সিভিল সার্জন বলেন, এখন পর্যন্ত চাঁদপুরে এ রোগে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া
যায়নি। যেহেতু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বাংলাদেশকে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের
জন্যে উচ্চ ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তারই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গৃহীত কার্যক্রম জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে
গ্রহণ করা হয়েছে।
এক্ষেত্রে সিভিল সার্জনের পরামর্শ : করোনা ভাইরাস আক্রান্ত থেকে বাঁচতে
হলে সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। হাঁচি-কাশি
দেয়ার সময় মুখ ঢেকে রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার করা।
এদিকে গতকাল চাঁদপুরসহ সারাদেশের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্স
করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। সেখানে ইউএইচএফপিওরা উপস্থিত ছিলেন।
এই ভিডিও কনফারেন্সে মহাপরিচালক করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিষয়ে নানা
পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দেন।