চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের করোনা প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। করোনার এই পরিস্থিতিতে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাই আপনাদের এ পরিস্থিতি বিবেচনা করে ত্রান বিতরণ কার্যক্রম চালু করেছি। আসলে জিবন বাঁচলে জীবিকা বাঁচবে। সেই কারণেই সরকার বিধিনিষেধ দিয়েছেন। এই সংক্রমণ এড়াতেই আগামী ২৮ তারিখ পর্যন্ত সরকারের বিধিনিষেধ গুলো মেনে চলতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণের কথা চিন্তা করেই আমাদেরকে ত্রান তৎপরতা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাই আমরা এ ত্রান তৎপরতা চালু করেছি।
বুধবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে অসহায়, দুস্থ ও কর্মহীন ৫শত পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, আপনারা জানেন গত ২ বারে আমরা ১হাজার পরিবারের মাঝেরত্রান বিতরণ করছি। তারই অংশনহিসেবে আজকে আরো ৫শত পরিবারের মাঝে ত্রান বিতরণ করছি। এছাড়াও জেলা প্রশাসকের হটলাইনে যারা ত্রান চাচ্ছে, তাদেরকেও আমরা ত্রানের আওতায় নিয়ে আসছি। যারাই আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে আমরা চেষ্টা করছি তাদেরকে ত্রানের আওতায় আনার। সিএনজি, অটো চালকরা যেন না খেয়ে থাকে তাদের মাঝেও ত্রান বিতরণ করছি।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমরা চাই যে আমরা সবাই যেন নিরাপদে থাকি। আমাদের জীবন যেন বাঁচে জীবিকাও যেন বাঁচে। এদুটোকে সমন্বয় করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।
ত্রান বিতরণ অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।
ত্রান বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ, জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মেহেদী হাসান মানিক, কাজী মোঃ মেশকাতুল ইসলাম, এ,আর,এম জাহিদ হাসান, দেবযানী কর, রেশমা খাতুনসহ জেলা প্রশাসন কর্তৃক গঠিত স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যবৃন্দ।
বিতরণকৃত কর্মহীনদের মধ্যে ছিলো পত্রিকার বিলি কারক ৪০জন, নরসুন্দরদের মধ্যে ছিলো ১০১জন, বাস শ্রমিক ১৫০জন, অটো চালক ৩৫জন, নিএনজি চালক ৫০জন, জেলা প্রশাসকের হটলাইনে আবেদনকৃত ৫০জন, অন্যান্য দুস্থ পরিবার ৭৪জন সহ মোট ৫০০জন।
উল্ল্যেখ্য, গত রবিবার ও সোমবার চাঁদপুরে ১ হাজার কর্মহীন পরিবারদের মাঝে চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের ত্রান বিতরণ করা হয়।
সংবাদদাতা/চাঁদপুরনিউজ/