মোঃ জামাল হোসেনঃ
মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয়
স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বলেন, ড. এম.এ. সাত্তারের স্মৃতি বিজারিত করফুলেন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজ আজ সরকারিকরণ প্রক্রিয়ায় চুড়ান্ত হয়েছে। জাতীয়করণের তালিকায় কলেজটি তৃতীয়স্থানে ছিল। আমি প্রধানমন্ত্রীর নিকট সবিনয় অনুরোধের মাধ্যমে আজ জাতীয়করণের ১নম্বর তালিকায় অর্ন্তভূক্ত হয়েছে। যার মাধ্যমে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে। শুধুমাত্র আমার এলাকার শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে আমি এই কলেজটিকে জাতিয়করণের তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করেছি। সরকারিকরণের ফলে শিক্ষার্থীরা মাসিক ১৮টাকা বেতনে লেখাপড়া করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, ড. সাত্তারের অবদান আমরা কোনদিনও ভুলতে পারবো না। শাহরাস্তিবাসী আজীবন তার কথা স্মরণে রাখবে। তিনি বলেন এ কলেজটি জাতীয়করণের জন্য সবচেয়ে বড় অবদান বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরতœ শিক্ষা বান্ধব প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার। আমরা শাহরাস্তিবাসী তার কাছে কৃতজ্ঞ, প্রাণঢালা অভিনন্দন ও চিরদিন ঋণী থাকব। গতকাল সোমবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে করফুলেন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির দানপত্র দলিল সরকারের নিকট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোহাম্মদ হাবিব উল্যাহ মারুফের সভাপতিত্বে ও কলেজের সহকারী অধ্যাপক এ.কে.এম. মাহবুবুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী, পৌর মেয়র হাজী আবদুল লতিফ, সহকারী পুলিশ সুপার (শাহরাস্তি-কচুয়া সার্কেল) মোঃ মঞ্জিল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ উল্যাহ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুজ্জামান মিন্টু, কলেজ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য মোশারফ হোসেন পাটওয়ারী, শাহরাস্তি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান, অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) নুর হোসেন মামুন, শাহরাস্তি প্রেস ক্লাবের সভাপতি কাজী হুমায়ুন কবির প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন করফুলেন্নেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উৎপলা রাণী পাল। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী রেজওয়ানুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইঞ্জিঃ আশেকুর রহমান, প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম। আলোচনা সভা শেষে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উৎপলা রাণী পাল সংসদ সদস্য মেজর অবঃ রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির নিকট সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে আনুষ্ঠানিক দানপত্র দলিল হস্তান্তর করেন। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, কলেজের শিক্ষক, শিক্ষিকা, অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য কলেজটি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ১৯৯২ সাল এমপিও ভুক্ত হয়। বর্তমানে এ কলেজে ৩৫ শিক্ষক ও কমর্চারী কর্মরত আছেন। অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৮শত ১৫জন। অখন্ড সমতল ভুমির পরিমান ৪.৭১ একর। গত দশ বছরের ফলাফলে উপজেলার শীর্ষে অবস্থান করছে। কলেজের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির মূল্য প্রায় ৯,৩৪,৮৪,৩২৫/- টাকা মাত্র।