চাঁদপুর সদর উপজেলার ৩নং কল্যাণপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আমানউল্লাহ্্পুর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরেই ভণ্ড কবিরাজ চক্রের নামে প্রতারণার জাল সৃষ্টি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আর এ অর্থ লোভী প্রতারক চক্রের হাতে জিম্মি হয়ে প্রতারণার শিকার হতে হচ্ছে ওয়ার্ডের নিরীহ গ্রামবাসীকে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গ্রামের মোঃ শাহআলম, মোঃ হজল বকাউল, মোঃ মুলাম, আব্দুর রহমান, মোঃ সিরাজ, মোঃ আঃ কাদির খান, মোঃ শাহজাহন খান, মোঃ নূরু বকাউল, মোঃ নাসির খান গং এলাকাসহ আশপাশের সাধারণ মানুষকে ভণ্ড কবিরাজী লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করে নগদ অর্থ প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে। ্এর মধ্যে মোঃ মুলাম রিক্সা নিয়ে ভাড়া টানতো এবং শাহআলম মানুষের জমিতে প্রতিদিন কাজ করতো।
জানা যায়, এ সকল প্রতারক ভণ্ডদের সদস্য সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৩০ জন। তাদের ভণ্ড বহুবিধ অপকর্মের মধ্যে বর্তমান কর্মকাণ্ডের মাঝে রয়েছে স্বর্ণের কুমড়া। আর এ স্বর্ণের কুমড়া গোপনে রেখে গ্রামবাসী থেকে প্রতারক চক্ররা প্রতিজন থেকে ৫০০টাকা করে নিয়ে এর বিপরীতে স্বর্ণের কুমড়া বাবদ ১কোটি টাকা পেয়ে যাবে।
কিছুদিন আগে এ নিয়ে গ্রামের মৃত মোঃ ছাওার গাজীর ছেলে মোঃ হোসাইন গাজী স্বর্ণের কুমড়ার প্রতারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে তাকে ভণ্ড প্রতারকগণ মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে বলে জানা যায়। ভণ্ড প্রতারকদের প্রথম কাজ হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সার্টিফিকেট নিয়ে দলের সদস্য করা। বিশেষ করে নিজেদের আত্মীয়স্বজনের কাছ থেকে স্বর্ণের কুমড়া পাবে বলে নগদ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বেশ কিছু দিন পূর্বে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মোঃ জাফর ডাক্তারের বাড়িতে প্রতারকগণ ২০ মন মিষ্টি বিতরণ করে খাওয়ায় এবং পরপর ঐ চক্র ৭টি গরু জবাই করে এলাকায় বিতরণ করে ও মেজবানীর অনুষ্ঠান করে। এলাকায় যা ছিল ভণ্ড কবিরাজ নামের প্রতারকদের সু-কৌশলী ভয়াবহ প্রতারণা।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন জানায়, এ এক ধরনের প্রতারণামূলক জুয়া খেলা। অর্থলোভী কর্মকাণ্ডের কারণে অনেকে প্রতারণার জালে পরে নিজের শেষ সম্বল হারিয়ে এখন পাগল প্রায়। গ্রামের মানুষের মাঝে মারাত্মক ক্ষোভ বিরাজ করছে। ভণ্ড কবিরাজ নামের প্রতারকদের ফাঁদে পরে প্রতারণার শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো বর্তমানে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। এ যেন দেখার কেউ নেই। এদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। এ ভণ্ড প্রতারকদের কারণে গ্রামের পরিবারগুলোতে বিরাজ করছে ঝগড়া বিবাদসহ মারামারি ইত্যাদি।
যে কোন সময় বড় ধড়নের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। তাই গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে আনার স্বার্থে সাধারণ গ্রামবাসীর আশা ও বিশেষ অনুরোধ যে, প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে ভণ্ড কবিরাজ নামের প্রতারকদের প্রচলিত আইনের আয়তায় নিয়ে এসে বিচার করলে গ্রামের সাধারণ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে বলে এলাকার সমাজ সচেতন মহলের বিশ্বাস।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।