চাঁদপুর : চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না। তাই তিনি সারাদেশে এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। কাউকে গৃহ তৈরী করে দেয়া অনেক পুণ্যের কাজ। এটি একটি যুগান্তকারী প্রদক্ষেপ।
রোববার (০৯ মে) বিকেলে বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার বাস্তবায়নে চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনয়নের পশ্চিম সকদী গ্রামে ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বসানের জন্য দু’টি ঘর হস্তান্তরকালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারাদেশের গৃহ নির্মাণ কাজের আওতায় চাঁদপুর জেলায় প্রথম পর্যায়ে ১১৫টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে গৃহ হস্তান্তর করেছি। এবার আমরা ১২৪টি গৃহহীন পরিবারে ঘর হস্তান্তর করব। কিন্তু এসব ঘরের বাহিরে এডমিনিস্ট্রেটিভ পরিবারের পক্ষ থেকে এ দু’টি ঘর করে দেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক বলেন, যখন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয় তখন পরিবারগুলো খুবই কষ্টের মধ্যে থাকতে হয়। কিন্তু নূন্যতম একটি ঘর থাকলে মাথাগোজার ঠাঁই হয় এবং সন্তানদের থাকাতে পারে। এ ধরণের চিন্তা থেকেই এডমিনিস্ট্রেটিভ পরিবারের পক্ষ থেকে এ দু’টি ঘর করে দেয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী ও বাগাদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ বেলায়েত হোসেন বিল্লাল।
উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দাউদ হোসেন চৌধুরী, (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) চাঁদপুর হেলাল, এক্সিকিউটিভ মেজিস্ট্রেটেট মো. ছামিউল ইসলাম, মো. মেহেদী হাসান মানিক, অলিদুজ্জামান, আজিজুন্নাহার, মো. উজ্জল হোসেন, মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন, ইমরান মাহমুদ ডালিম, সেলিনা আক্তার, আবিদা সিফাত, মঞ্জুরুল মোর্শেদ, কাজী মো. মেশকাতুল ইসলাম, এআরএম জাহিদা হাসান, রেশমা খাতুন, রিক্তা খাতুন ও দেবযানী কর।
অনুষ্ঠানের গৃহহীন আব্দুল কাদের ও মো. হাসান মিয়ার নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি ও ঈদ সামগ্রী তুলে দেন জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
ফম/এমএমএ/