স্টাফ রিপোর্টার
বিশ্ব শান্তি কামনায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও চাঁদপুর নতুনবাজার এলাকার ঘোষপাড়ায় শ্রী শ্রী হরিমন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় ৫১তম ৩২ প্রহর ৪ দিনব্যাপী হরিণাম কীর্ত্তণ। হরিণাম কীর্ত্তণের শেষদিন গত ২৬ নভেম্বর বুধবার কীর্ত্তণ চলাকালে দেখা দেয় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি। উত্তেজনাকর মারমুখি পরিস্থিতির কারণে উপস্থিত ভক্তদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মহিলা ভক্তবৃন্দ আতঙ্কিত হয়ে এদিক-সেদিক ছোটা-ছুটি করতে থাকে। ফলে কিছু সময়ের জন্য ৩২ প্রহরব্যাপী অহরাত্রি কীর্ত্তণের ব্যাঘাত ঘটে। দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ হয়ে আসা বাৎসরিক উৎসবে এমন অপ্রীতিকর অধর্মীয় আচরণে এলাকায় মানুষের মাঝে ভিষণ ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তারা ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ধিক্কার ও নিন্দা জানায় এ ধরনের অধর্মীয় আচরণের জন্য। জানা যায়, কীর্ত্তণের শেষদিন রাত আড়াইটায় কীর্ত্তণের পাশে শীতলা মন্দিরের সামনে ঝন্টু ঘোষের ছেলে রঞ্জন ঘোষসহ কয়েকজন এলাকার কাউন্সিলর সহদেব ঘোষ ও এয়ার ভয়েজ টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের খোকন মজুমদারের অনৈতিক কিছু কাজ নিয়ে মন্তব্য করেন। উক্ত মন্তব্য শুনে তাৎক্ষণিক কাউন্সিলর সহদেব ঘোষ উক্ত ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে মারমুখী হয়ে উঠেন। তার ও তার সাথে থাকা সহপাঠীদের মারমুখী আচরণে পরিবেক্ষন উত্তপ্ত হয়ে উঠে। তাদের মারমুখী আচরনে উপস্থিত মানুষজনের মাঝে ভয়ের সৃষ্টি হয়। কীর্ত্তণ শুনতে আসা মহিলা-পুরুষ ভক্তদের মাঝে দেখা দেয় আতঙ্ক, তাদের অনেকেই তখন ভয়ে কীর্ত্তণ স্থল ত্যাগ করে এদিক-সেদিক ছুটতে থাকে। নাম কীর্ত্তণ কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারীসহ অন্যান্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। নিয়ন্ত্রণে আসলেও দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ হয়ে আসা কীর্ত্তণের সুনাম বদনামে রূপান্তরিত হওয়ায় সকলের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
তারা অনেকেই কাউন্সিলর সহদেব ঘোষসহ যারা এ ধরনের আচরণের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন, এরা মূলতঃ স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না। তাদের অনেকেই ছিলেন নেশাগ্রস্থ। আর নেশাগ্রস্থ থাকার কারণেই তারা ভুলে গেছেন ধর্মীয় অনুভূতি ও পরিবেশের কথা। একজন জনপ্রতিনিধিও ১ম শ্রেণীর পৌরসভার কাউন্সিলর নেশাগ্রস্থ অবস্থায় স্ব-দলবলে এমন অধর্মীয় আচরণে উপস্থিত সকলেই মর্মাহত ও হতাশা ব্যক্ত করেন। এমনকি ঘোষপাড়া কীর্ত্তণ অনুষ্ঠানের শেষদিনের ঘটনাটি নিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।