চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বিল্লাল স্যারের গাজীপুর কেএএল উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ৪০ বছরের ন্যায় এবারও অবৈধ ম্যানেজিং কমিটি গঠিত হয়। এ নিয়ে স্থানীয় অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে তদন্তের জন্যে লিখিত অভিযোগ করলে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও সেই নির্দেশনা এখনো তদন্ত কমিটির হাতে পৌঁছেনি। ইউএনও আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন স্বাক্ষরিত ৪০৭ নং স্মারকে গত ১৩জুন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আঃ কাইয়ূম মজুমদারকে আহবায়ক করে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং পরবর্তী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা থাকে। কিন্তু সেই তদন্ত রিপোর্ট আলোর মুখ দেখাতো দুরের কথা কাগজে-কলমে গঠিত সেই তদন্ত কমিটিটি তদন্ত কমিটিতে স্থান পাওয়াদের হাতে পর্যন্ত গত ১ মাসেও পৌঁছেনি। কাগজ-কলমের সেই তদন্ত কমিটির অন্য ২ জন হলেন- উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার রবিউল ইসলাম।
গাজীপুর কেএএল উচ্চ বিদ্যালয়ে গঠিত অবৈধ ম্যনেজিং কমিটি গঠনের ব্যপারে অভিভাবকদের লিখিত, স্থানীয় সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলের মৌখিক অভিযোগের পরেও কেন এই নাম খাওয়াস্তের তদন্ত কমিটি? কাগজ-কলমের সেই তদন্ত কমিটিটি গত ১মাসেও এখনো কেন ঐ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির হাতে পৌঁছেনি? এমনসব জটিল প্রশ্নের জবাব খুজতে অনুসন্ধানে স্কুল এলাকাসহ বিভিন্ন মহলে খোজ-খবর নিতে গেলে এ ব্যপারে সকলেরই ইশারা স্থানীয় দু’উপজেলার দায়িত্বে থাকা শীর্ষ জনপ্রতিনিধির দিকে।
এ ব্যপারে কাগজ-কলমের তদন্ত কমিটির আহবায়ক উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ূম মজুমদার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব আমার উপর তা আমি এখন আপনার কাছেই জানলাম, তাছাড়া এ ধরনের তদন্ত কমিটির কোন কাগজ আমি পাইনি।