সাখওয়াত হোসেন মিথুন :
হাজীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারের এডিবি, এলজিএসপি, কাবিখা, ১’শ দিনের কর্মসূচী ও এলজিডির নিজস্ব অর্থ বিগত সরকারের তুলনায় এই সরকারের অনেক বেশি বরাদ্ধ হয়েছে। সরকারের ওইসব প্রকল্পের অর্থ যথাযথ ভাবে বাস্ত্মবায়ন হয়নি। এতে সুবিধাভোগী জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের দুর্নীতিতে তৃর্ণমূলের সারাধণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে না। আমার চাঁদপুর অনুসন্ধানে হাজীগঞ্জ উপজেলা পরিক্রমার ‘দুর্নীতি’ আজ চর্তুথ পর্বে থাকছে উপজেলার ৩ নং কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নে সরকারী এলজিএসপি প্রকল্পের বরাদ্ধকৃত অর্থ লুটপাটের খবরা-খবর।
চলতি অর্থ বছরের ২০১১-১২ সালের শুধু এলজিএসপি প্রকল্পের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার মধ্যে প্রায় ৭ লÿ টাকার হদীস নেই। অথচ ইতোমধ্যে ওই প্রকল্পের কাজের মেয়াদ শেষ হয়েছে। যা ইউপি চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন কিসলুর নেতৃত্বে লুটপাট হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই এলজিএসপি প্রকল্পের ৯ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮’শ ৫ টাকা প্রতিটি ওর্য়াডে ‘বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প’ দেখিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক আত্মসাধ করা হয়েছে। ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের কাপাইকাপ মোলস্না বাড়ির সামনে পাইপ কালর্ভাট ও রাস্ত্মার জন্য পৃথকভাবে ৫০ হাজার টাকা করে বরাদ্ধ দেয়া হয়। এরমধ্যে রাস্ত্মার মাটি কাটায় ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হলেও কালর্ভাটির কাজ এখনো শুরম্ন হয়নি। এই দু’প্রকল্পের বাকী ৭০ হাজার টাকার হদীস নেই। ওই ওয়াের্ডর ইউপি সদস্য দেলোয়ার জানিয়েছেন, একই প্রকল্পের রাস্ত্মার কাজ হলেও পাইপ কালভাের্টর কাজ হয়নি।
২ ও ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পলাশ প্রধানীয়া ও মনোহর আলী জানান, ওই প্রকল্পের ব্রাক্ষ্ণণগাঁও মোলস্না বাড়ির দক্ষিণে ও ছিলাচোঁ রব মিয়ার বাড়ির পাশে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় পাইপ কালভার্টের কাজ এখনো হয়নি।
৪ ও ৫ নং ইউপি সদস্য মোঃ আলী আকবর ও ইব্রাহীম জানান, রাজাপুর রফিকের বাড়ির পাশে এবং তারাপালস্না শীল বাড়ির পাশে পাইপ কালর্ভাটের কাজ ৫০ হাজার টাকা ব্যয় পাইপ কালভাের্টর কাজ এখনো হয়নি।
৮ নং ওয়ার্ড মাড়কী মর্তুজা আলী মুক্তার বাড়ির উত্তর পাশের বঙ্ কালর্ভাট ও প্রধানিয়া বাড়ির রাস্ত্মা মেরামতের ৩০ হাজার টাকার মধ্যে কিছু কাজ করা হয়।
৯ নং ওয়ার্ড সিহিরচোঁ সর্দ্দার বাড়ির পাশের পাইপ কালর্ভাট ৬০ হাজার টাকা প্রকল্প দেখানো হলেও কোন কাজ করা হয়নি। এছাড়া মহাব্বতপুর গাজী বাড়ির রাস্ত্মা সংস্কারের জন্য ৮০ হাজার টাকা প্রকল্প দেখানো হয়। স্থানীয় লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে এমন কোন কাজ হয়নি বলে জানিয়েছে।
৭ নং ওয়ার্ড ফিরোজপুর করিম খাঁ বাড়ির ব্রীজের রাস্ত্মা মেরামত জন্য ৬০ হাজার টাকা প্রকল্প দেখানো হলেও কাজ করা হয়নি। ওই রাস্ত্মায় ব্রীজ নির্মাণের বাবদ ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা মধ্যে ৬০% কাজ হয়।
এ বিষয়ে ৭ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য আবু জাফর টেলু জানান, রাস্ত্মার মেরামতের কাজ না করে ইউপি পরিষদের জন্য আইপিএস ক্রয় করা হয়েছে।
রাজাপুর-চেঙ্গাতলি-তারপালস্না কাজী বাড়ির রাস্ত্মা নির্মাণের ৯০ হাজার টাকার মধ্যে ৪০% কাজ করা হয়েছে বলে স্থানীরা জানান। তারাপালস্না-বানিয়াচোঁ রাস্ত্মা ৭০ হাজার টাকা প্রকল্পে দেখানো হয়েছে। স্থানীয় ৫ নং ওর্য়াডের ইউপি সদস্য ইব্রাহীম জানান, তারাপালস্না-বানিয়াচোঁ রাস্ত্মার কাজটি ৪০ দিনের কর্মসূচীর প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করা হলেও পুনরায় একই রাস্ত্মায় এলজিএসপি প্রকল্পের কাজ দেখানো হয়। অথচ এই এলজিএসপি প্রকল্পের টাকা লুটপাট হয়।
উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩০ জুন এই এলজিএসপির সকল প্রকল্পের বাস্ত্মবায়ন দেখিয়ে বিল উত্তোলন করে নিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান।
ওইসব বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন কিসলু মানবসমাজকে জানান, বর্ষা চলে আসায় কিছু কিছু কাজ সম্পন্ন করা যায়নি। বর্ষার শেষে অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করা হবে।
শিরোনাম:
রবিবার , ২০ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।