আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের বিদ্যা অর্চনায় স্বরসতী পূজা উদ্যাপিত হবে। এ উপলক্ষে আগামীকাল ৩ ফেব্রুয়ারি সোমবার অধিবাস ও প্রতিমা আনয়নের মধ্য দিয়ে ৩ দিনব্যাপী শুরু হবে এ পূজা উৎসব। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার পূজা। এদিন সকাল ৮টায় পূজা আরম্ভ, অঞ্জলী গ্রহণ ও প্রসাদ বিতরণ, রাতে মণ্ডপে মণ্ডপে প্রতিমা দর্শন, প্রণাম ও প্রসাদ গ্রহণ। ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় আনন্দ শোভাযাত্রা। এদিকে পূজা আয়োজনকে ঘিরে সারাদেশের ন্যায় চাঁদপুরের সর্বত্র শেষ পর্যায়ের ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। মন্দিরগুলোতে মৃৎ শিল্পীরা প্রতিমা তৈরি কাজে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছে। সরজমিনে দেখা যায়, চাঁদপুর শহরের গোপাল জিউড় আখরা মন্দির, কালীবাড়ি মন্দির, পুরাণবাজার হরিসভা মন্দির, নিতাইগঞ্জ, মাছ বাজার ও দক্ষিণ বাজার এলাকায় প্রতিমা কারিগর রং তুলিতে ফুটিয়ে তুলছে প্রতিমার সৌন্দর্য। পূজার আয়োজকরা মণ্ডপগুলোতে আলোক সজ্জার জন্য লাইট এবং ডেকোরেটর, মিউজিক ইকো সেট আগে ভাগেই ভাড়া করে রেখেছে। এখন চলছে সাজ সজ্জার কাজ। জীবন কৃষ্ণপাল গোপাল জিউড় আখড়া এবং পুরাণবাজার হরিসভা মন্দিরে নিজেসহ আরো ৬জন কারিগর নিয়ে ২ শতাধিক সরস্বতীর প্রতিমা তৈরি করছে। এর মধ্যে গোপাল জিউড় আখড়া মন্দিরে ১৭০টি হরিসভা মন্দিরে প্রায় আরো ৩০টি মতো প্রতিমা তৈরি করেছে। অপরদিকে কালীবাড়ি মন্দিরে গোবিন্দ পাল প্রায় ২শ� প্রতিমা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এই তিনটি মন্দিরে প্রায় ৪ শতাধিক প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। এখানে উল্লেখ্য, সরস্বতী পূজা একদিনের হলেও প্রতীমা আনয়ন, পূজা পালন এবং বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রার আয়োজন ৩ থেকে ৪ দিনের হয়ে থাকে। চাঁদপুর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মডেল হিসেবে এর ঐতিহ্য সরস্বতী পূজার উল্লেখযোগ্য দিক শহরে প্রতীমা প্রদর্শনে বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা। উৎসব হিন্দু সম্প্রদায়ের হলেও সকল ধর্মের মানুষ আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়। চাঁদপুর শহরে প্রতিটি সরস্বতী পূজা মণ্ডপ ব্যয়বহুল আয়োজন লক্ষ্য করা গেছে। যেসব সংগঠন শহরে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেবে তাদের প্রতিমা, ডেকোরেশন, সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা ও মিউজিক প্রোগ্রাম থাকবে ব্যয় বহুল ও ডিজিটাল প্রযুক্তির বলে পূজার আয়োজকরা জানিয়েছেন।
শিরোনাম:
মঙ্গলবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৯ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।