শরীফুল ইসলাম :
চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়ার রহিম খাঁর কলোনীতে কিস্তির টাকাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করেছে পাষন্ড স্বামী। ঘটনার সূত্রে জানা যায় নাটোর জেলার উত্তর চকীর এলাকার তাহের গাজীর ছেলে আজাদ গাজী (৩৫) এর সাথে বিষ্ণুদী ছৈয়াল বাড়ী এলাকার ইউনুছ খাঁর বড় মেয়ে নাজমা বেগম (২৫)এর সাথে আজাদ গাজীর বিয়ে হয় দীর্ঘ চার বছর ধরে। আজাদ দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে চাঁদপুরে রিক্সা চালাত। বিবাহীত জীবনে তাদের তিন বছরের এক ছেলে রয়েছে। রহিম খাঁর কলোনীতে ছয় মাস ধরে বাড়া আছে বলে জানায় বাড়ীওয়ালারা, তারা আমাদের এখানে বাড়া আছে প্রায় ছয় থেতে সাত মাস। এর মধ্যে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারনে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকত। সেই উপেক্ষা করে রবিবার সন্ধ্যা থেকেই স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কিস্তির টাকা নিয়ে ঝগড়া হয় এবং নাজমাকে মারধর ও করা হয়। তাদের এই কলোহ রাতবর চলতে থাকে। থানায় আজাদের স্বীকারোক্তিতে জানা যায় নাজমার সাথে ঝগড়ার পরে নাজমাকে মারধর করে। এবং সে তার গায়ের ওড়না গলায় ঝুলিয়ে উপরে থাকা বাসের ফালার সাথে ঝুলিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে আজাদ। খুন করে বাসার সাথে লাসটি ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায় আজাদ। ঘটনার পড়ে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ছয়টায় নাজমার তিন বছরের ছেলে সিয়াম। তাদের বাড়িওয়ালার কাছে এসে কান্নাকাটি করে এবং বলে তার বাবা তার মাকে মেড়েছে। নাজমার কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে দেখে নাজমার ঝুলন্ত লাশ। এই ঘটনায় এলাকার লোকজন জানতে পেড়ে ছুটে আসে। নাজমার ঘরে। এবং তার স্বামীকে ধরার জন্য পুরো এলাকায় খোজাখুজি করে একপর্যায়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঐ এলাকার লোকজনের হাতে ধরা পড়ে। এলাকার লোকজন দ্রুতভাবে চাঁদপুর মডেল থানায় খবর দেয়। মডেল থানার এসআই বিমল কর্মকার এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে যায় ও আটকৃত স্বামী আজাদকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে দিলে তাকে থানায় নিয়ে আসা হয়। আটক আজাদকে থানায় আনার পর ব্যাপক জিজ্ঞাসা বাদ করলে খুনের পরিস্থিতি বর্ণনা করে স্বীকার করে আজাদ। এই ঘটনায় এলাকায় ও নাজমার পরিবারের মাঝে নেমে আসে শোকের ছায়া।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।