চাঁদপুর নিউজ রিপোর্ট
চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনির ঘোর আপত্তি সড়কে ট্রাক্টর চলাচল নিয়ে। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ও সংস্কার করা রাস্তাগুলো বড় বড় ডোরাকাটা চাকার ট্রাক্টর ধ্বংস করে ফেলছে। তাই সড়কে ট্রাক্টর নামের অবৈধ মালবাহী গাড়িটি বন্ধের নির্দেশনা ছিলো তাঁর। একই দাবিতে ১৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির সভায় সোচ্চার ছিলেন বেশ ক’জন। সে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম এমপি। এরপরও বন্ধ হয়নি ট্রাক্টর চলাচল।
ট্রাক্টর নামের যন্ত্রদানবটি গ্রামীণ জনপদসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে আসছে। মানুষের জানমালের হুমকি এই ট্রাক্টর। ভয়ঙ্কর প্রকৃতির এই মালবাহী গাড়িটি অনেকের জীবন কেড়ে নিয়েছে। গ্রামীণ রাস্তাঘাট ধ্বংস করে ফেলছে। অথচ সড়ক চলাচলের কোনো বৈধতা নেই এই যানবাহনটির। অনেক আগ থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠে সড়কে ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ করার। সম্প্রতি এ দাবি খুব জোরালো হয়। কিন্তু তারপরও বন্ধ হচ্ছে না এটি। কয়েকদিন আগে হঠাৎ চাঁদপুর শহরে পুলিশ ঝটিকা অভিযান চালিয়ে চারটি ট্রাক্টর আটক করে। তখন জনগণ পুলিশ প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছিলো। এবার বুঝি ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ হচ্ছে। কিন্তু আটক ওই দিন পর্যন্তই শেষ। শহর ও গ্রামের রাস্তায় বীরদর্পে চলছে ট্রাক্টর। সবশেষ গত ২দিন আগে শহরের টেকনিক্যাল এলাকায় পুলিশের পিকআপের উপর হামলে পড়ে ট্রাক্টর। এতে পিকআপের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয় এবং চার পুলিশ সদস্যসহ ছয়জন আহত হন। দুই পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন। এদেরকে ঢাকা পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ ঘটনার রাতেই পুলিশ ওই ঘাতক ট্রাক্টরটিসহ আরো ক’টি ট্রাক্টর আটক করে। তখন জনগণের মন্তব্য ছিলো : এবার যেহেতু পুলিশের উপর গিয়ে পড়েছে তাই পুলিশ অ্যাকশনে যাবে। কিন্তু না, এবারো দেখা গেলো কেমন যেনো সমঝোতা। পুলিশের অ্যাকশন শুধু ওই রাতেই ছিলো। ট্রাক্টর এখন বিনা বাধাতে চলাচল করছে।
জনগণের জিজ্ঞাসা : নেপথ্যে এ কোন্ শক্তি কাজ করছে যাতে প্রশাসন এ অবৈধ যানবাহটি বন্ধ করতে পারছে না। রহস্য কোথায় লুকিয়ে আছে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর স্বার্থ আগে না কি ব্যক্তি ক’জনের স্বার্থ আগে। জনগণ বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে চাঁদপুর জেলায় সড়কে ট্রাক্টর চলাচল বন্ধ দেখতে চায়।