ইমতিয়াজ শাহ্রুখ কোরাইশী, শাহ্রাস্তি (চাঁদপুর) :
সোনালী আঁশ পাট এখন আর শাহ্রাস্তিতে কৃষকদের গলার ফাঁস নয়। সারাদেশের ন্যায় শাহ্রাস্তিতে ও পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরে আসতে শুরু করেছে। এবার সোনালী আঁশ পাট শাহ্রাস্তির কৃষকদের জন্য আর্শিবাদ বয়ে এনেছে। পাটের বাম্পার ফলন ও ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা মহাখুশি। সে সঙ্গে আগামী পাট মৌসুমে পাট চাষ করে পাটের উৎপাদন বৃদ্ধি করে পাটের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার স্বপ্নে বিভোর এখানকার পাট চাষীরা। সবুজ শ্যামলে সুশোভিত শাহ্রাস্তি উপজেলা এক সময় প্রচুর পরিমাণে পাট উৎপাদিত হত। পাটের জন্য খ্যাতি ও ছিল প্রচুর এ উপজেলার। কালের বিবর্তণে একসময় পাট চাষীরা আসতে আসেত পাট চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। পরিবর্তীত ফসল হিসেবে ধান, আলু ও অন্যান্য শাক-সবজী চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়ে। পর পর কয়েক বছর সোনালী আঁশ পাটের ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা এখন আবার পাট চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে পড়ছে। বেশির ভাগ কৃষকই ইরি ধান কাটার পর তাদের জমিতে পাটের চাষ শুরু করছেন আবার পাট কেটে এখই জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির আবাদ করছেন। ফলে এখন তাদের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটে উঠছে। উল্লেখ্য এ উপজেলার বাজারগুলোতে প্রতিদিনই প্রচুর পাট কেনা-বেচার চিত্র দেখা যায়। বাজারগুলোতে দেশী বগী পাট ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা এবং সূতী পাটসহ অন্যান্য প্রজাতির পাট মন প্রতি ৭ থেকে থেকে ৮ শত টাকা বিক্রি হচ্ছে। পাটের বাজারে বিভিন্ন ধরণের জুট মিলস থেকে শুরু করে মহাজন ফড়িয়া ও দালালরা কৃষকদের কাছ থেকে পাট কিনছেন হারহামেশাই।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ২১ মার্চ, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।