* খিচুড়ি রান্নার সময় আগুনের তাপ ও ছাই গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বিশেষ উপকারী
* বাদ্য-বাজনার মাধ্যমে ভান উঠে এবং ভানে ৩৬০ আউলিয়ার উপস্থিতির কথিত গুজব
* গভীর রাতে বসে নারী-পুরুষের সম্মিলিত জলসা
চাঁদপুরের হাইমচর থানাধীন আলগী এর ছোট লক্ষীপুর এলাকায় সেলিনা নামের এক মহিলা ভন্ড কবিরাজের আবির্ভাব হয়েছে। প্রায় ২ মাস যাবত চলছে আজগুবি ও প্রতরাণমূলক কবিরাজী পন্থা। কে এই আলোচিত সেলিনা? সেলিনা পরিচয় জানতে গিয়ে জানা যায়, ছোট লক্ষীপুর গাজীর বাজার সংলগ্ন বরকন্দাজ বাড়ির আব্দুর রহিমের স্ত্রী। বরকন্দাজ বাড়ি তার বাবার বাড়ি। বর্তমানে সেলিনা উক্ত বাড়িতেই বসেই প্রতিনিয়ত চালাচ্ছেন, পানি, তেল, ধুলপড়ার মাধ্যমে অভিনব কায়দায় কবিরাজী। এছাড়া প্রতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার খিচুড়ি দাওয়াই এর মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছেন তার প্রতারণামুলক চিকিৎসাপন্থা। রোগী সেজে সরেজমিনে গিয়ে সেলিনার কুসংস্কার সম্বন্ধে জানা যায়, তার আস্তানায় খিচুড়ি রান্নার সময় চুলার তাপ ও ছাই গর্ভবতী মহিলাদের বিশেষ উপকারী। সেলিনার পাশে অবস্থানরত পুরুষ খলিফাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাজারের শিল্পী শরিফ উদ্দিনের গান বাজিয়ে তার ভান উঠে, এসময় তার উপর নাকি ৩৬০জন আউলিয়া সওয়ার হন, এবং তার এ কায়দা কানুনের জন্য হায়দারগঞ্জের বর্তমান হুজুর তাকে নাকি অনুমতি দিয়েছে। প্রতিবেদক হায়দারগঞ্জ হুজুরের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে জানতে পারে, তিনি এরকম মহিলাকে চিনেন না এবং অনুমতির বিষয়ে অস্বীকার করেন। প্রয়োজনে তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার কথাও জানিয়েছেন। তার আস্তানায় প্রতিদিন প্রায় ৩শতাধিক নারী-পুরুষের উপস্থিতি। এদের মধ্যে ১৬ থেকে ৫০ উর্দ্ধো মহিলাদের সংখ্যাই বেশি। তাদের সাথে কথা বলে জানা যায় এখনো তারা এ কবিরাজের নিকট থেকে কোন উপকার পায় নি, তবে তার প্রতরণামূলক চিকিৎসা ব্যবস্থাটি আজগুবি ধরনে বিধায় অনেকেই কৌতুহলবশত এখানে এসে ভিড় করে। এ সুযোগে দৈনন্দিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সেলিনা ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এলাকার স্থানীয় কিছু মুসল্লীদের সাথে কথা বরে জানা যায়, ইতিপূর্বে সেলিনার সহোদর বড় দুই বোন ভান্ডারী পন্থায় নাচ গান করিয়ে লোকজনদের নিকট হইতে অনেক টাকা হাতিয়ে মোটা অংকের টাকার মালিক, বর্তমানে সেলিনাও যা করছেও তা ভন্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়, সেলিনার ভন্ডামী কার্যকলাপ থেকে আবেগপ্রবন মানুষদেরকে বাঁচাতে প্রশাসনিক সহযোগীতার প্রয়োজন।