সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
হাজীগঞ্জে অবাধে ব্যবহার হচ্ছে গরু মোটাতাজাকরণের ভারতীয় ডেঙ্ামেথাসন ট্যাবলেট। বিভিন্ন ঔষধের দোকানগুলোতে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় এই নিষিদ্ধ ট্যাবলেট। অবাধে বিক্রি হলেও উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস রহস্যজনক কারণে নিরব রয়েছে। এই সুযোগে অসৎ ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে যাচ্ছে গবাদিপশুর এই মরণ ঔষধ। কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে এই চক্রটি বেশি সক্রিয় হয়। জানা যায়, এই নিষিদ্ধ ডেক্রামেথাসন ট্যাবলেট দেশের বিভিন্ন সীমান্তের চোরাই পথে বাংলাদেশে আনে একশ্রেণীর পাইকারী ব্যবসায়ী। হাজীগঞ্জের সিমান্তবর্তি দিয়ে আরেক শ্রেণীর পাইকারী ব্যবসায়ী দোকানে দোকানে বিক্রি করে। ডেক্রামেথাসন ট্যাবলেট গবাদিপশুতে ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও অসাধু প্রাণিসম্পদ র্কমকর্তা ও প্রশাসনের লোকজন ম্যানেজ করে অবাধে বিক্রি ও ব্যবহার চলছেই। এতে মানুষের স্বাস্থ্য ব্যবস্থ্যা ঝুঁকিতে রয়েছে। ঝুঁকিতে রয়েছে গবাদিপশু স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও। বিষেশজ্ঞরা বলেছেন ডেঙ্ামেথাসন ট্যাবলেটে মূল উপাদান রয়েছে ডেক্রামেথাসন সোডিয়াম ফসফেট। এই ট্যাবলেট দীর্ঘদিন ব্যবহারে গবাদিপশুর শরীরের ভেতরে কোষের ফাঁকে ফাঁকে অতিরিক্ত পানি জমাট বাঁধে। যা গবাদিপশুকে খুব অল্প সময়ে মোটাতাজা করতে সহায়তা করে। দেখতে খুব স্বাস্থ্যবান মনে হয়। আর তাতেই খামারিরা বেশি আগ্রহী হয় ট্যাবলেট ব্যবহারে। এতে করে অশিক্ষিত খামারি ও ব্যবসায়ীরা না বুঝেই ঝুঁকে পড়ছে এই মরণ ওষুধের দিকে। এই মোটাতাজাকরণ পদ্ধতিতে অনেক সময়ই মৃত্যুবরণ করতে পারে তাদের মূল্যবান পশুটি। এটা পশু মোটাতাজাকরণের ভুল পদ্ধতি। ফলে অধিক ক্ষতির শিকার হওয়ার আশংক্ষায় থাকে খামারিরা। এই ঔষধ বিক্রি করে একশ ট্যাবলেট ১৬০-১৮০ টাকায়। অনেক অশিক্ষিত গ্রাম্য ডাক্তারা ডেঙ্ামেথাসন ব্যবহার করতে বলে।
শিরোনাম:
সোমবার , ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৫ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।