স্টাফ রিপোর্টার:
: আসন্ন পবিত্র ঈদ উল আজহার কোরবানী উপলক্ষে চাঁদপুর জেলায় ৩৪ হাজার গরু ছাগল মোটা তাজা করা হচ্ছে। তবে মোটা তাজা করার ক্ষেত্রে খামারীরা যাতে মানব দেহে ক্ষতি করে এমন কোন প্রকার রাসায়নিক দ্রব্য সামগ্রী ব্যবহার করতে না পারে তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কড়া নজরদারী করছে। আর এ ক্ষেত্রে খামারীরা বেশীর ভাগ পশুকে নিজেদের আবাদ করা প্রাকৃতিক ঘাস খাওয়াচ্ছেন।
চাঁদপুর জেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, জেলার ৮ উপজেলায় প্রায় ১৫শ’ খামারী রয়েছেন। যাদের অনেকেই যুব উন্নয়ন অধিপ্তর চাঁদপুর থেকে প্রশিক্ষিত। আবার অনেকেই এলাকার খামারীদের অনুসরণ করছেন। এ বছর তারা ৩৪ হাজার গরু ও ছাগল মোটা তাজা করছেন। এসব পশুর মধ্যে দুধের গাভী ছাড়া বাকী পশু কোরবানীর হাটে বিক্রি হবে।
সম্প্রতি কথা হয় হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব হাটিলা গ্রামের মির্জা ডেইরী ফার্মের মালিক জলিলুর রহমান দুলাল মির্জার সাথে। তিনি বলেন, যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ২০০৭ সালে মাত্র একটি গাভী নিয়ে ডেইরি ফার্মের যাত্রা শুরু করেন।। বর্তমানে তাঁর ডেইরী ফার্মে ২৬ টি বিদেশী গাভী ও ৫০ টি ষাড় মোটা তাজা করা হচ্ছে। প্রতি বছর কোরবানি এলে এই ফার্মের মাধ্যমে ৫০ থেকে ৬০ টি গরু মোটাতাজা করে বিক্রি করা হয়। এতে প্রতি বছর তিনি তাঁর ফার্মের মাধ্যমে ৪০ থেকে ৫০ লাখ টাকা আয় করে থাকেন। শুধু তাই নয় দুলাল মির্জা হাঁস মুরগী পালন, মৎস্য চাষ করেও প্রতি বছর ১০ থেকে১২ লাখ টাকা আয় করে থাকেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো: জুলফিকার আলী জানান, এ উপজেলায় প্রায় ২শত খামারী গরু ও ছাগল মোটাতাজা করছেন। কিন্তু কোথাও মানব দেহে ক্ষতিকর দ্রব্য সমগ্রী ব্যবহার করতে দেয়া হচ্ছে না। এ বিষয়ে খামারীদের নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে।
চাঁদপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রেজাউল করিম বলেন, ঈদ উল আজহা উপলক্ষে চাঁদপুর জেলায় ১৫শ’ খামারী ৩৪ হাজার গরু ছাগল মোটা তাজা করছে। মানবদেহে ক্ষতি করে এমন কোন প্রকার রাসায়ানিক দ্রব্য এখানে ব্যবহার করা হচ্ছে না। প্রতিটি খামারে জেলা ও উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় লোকজনের তদারকিতে প্রাকৃতিক ঘাস, খড়, খৈল ও ভুষি খাওয়ানোর মাধ্যমে পশুগুলো মোটাতাজা করা হচ্ছে। এসব পশুই চাঁদপুরের কোরবানীর পশুর অনেকাংশ চাহিদা মেটাবে।