শরীফুল ইসলাম ঃ
আর মাত্র কয়েকদিন পর আসছে মুসলমানদের ধর্মিয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। আর কোরবানিকে র্ঘিরে মানুষ ব্যস্ত থাকে পশু ক্রয় ও বিক্রয় করতে। যারা কোরাবানির পশু কিনেন তারা, পশুর গোশত কাটার জন্য যেসব ধারালো দা, ছুরি, চাপাতি ও অন্যান্য জিনিস কাটার জন্য প্রয়োজন হয়। সেই সব পুরনো ঝম পড়া দা, ছুরি ঝালাই-বালাই করতে দিয়ে দেন কামারের দোকানে। আর যাদের পুরনো কোন পশু কাটার জিনিস না থাকলে, তাদের কামারদের দোকান থেকে নতুন দা, ছুরি, চাপাতি ক্রয় করতে হয়। যার কারনে এসব পুরনো ও নতুন দা, ছুরি ধারালো করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন কামররা। বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় কোরবানিকে ঘিরে কামাররা পুরোদমে ঝালাই-বালাইয়ের কাজে ব্যস্ত থাকেন। অন্য সময়ে ভাল বিক্রি না থাকায় ঈদকে ঘিরে কামাররা একটু বেশি টাকা হাকিয়ে নেন। তেমনি গণি স্কুলের দক্ষিনে নিউ শংকর ষ্টোরের মালিক শ্রী গোপাল চন্দ্র কর্মকার বলেন, আর ২/৩ দিন আগেও আমাদের কোন বিক্র বা ঝালাই-বালাইয়ের কাজ ছিলনা। কিন্তু এখন পুরনো দা, ছুরি আনতে শুরু করায়, আমারা এখন অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়েছি। তবে জিনিশের দাম বেশি থাকায় কেউই নতুন দা, ছুরি কিনছেননা, পুরনো গুলো দিয়েই কাজ সারছেন লোজন। দামের কথা জিজ্ঞেস করলে বলেন, আগের তুলনায় লোহা, কয়লার দাম অনেক বেড়ে গেছে, আমাদের এখানে যে কর্মচারীরা কাজ করেন তাদেরকে বেতন দিয়ে রাখতে হয়। আমারা বছরের পুরো সময় মালের পশরা সাজিয়ে রাখি কিন্তু তেমন কোন বিক্রি হয় না। তাই ঈদকে ঘিরে মালের দাম বেশি থাকায় আমাদের একটু দাম বেশিই রাখতে হয়।
শিরোনাম:
সোমবার , ২১ এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৮ বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।