অভিজিত রায় ॥
মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরনী অুনষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা, ক্রীড়া পতাকা, বিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন, শান্তির প্রতীক পায়রা ওড়ানো ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভসূচনা হয়। শুভসূচনা শেষে বিদ্যলয়ের শিক্ষার্থীরা শারিরীক কসরত, দেশাত্ববোধক সংগীতের সাথে একক ও দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে বিভিন্ন শ্রেনির ছাত্রীরা।
ক্রীড়া অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ ইসমাইল হোসেন। তিনি বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুরে মেধার ভিত্তিতে গর্ব করার মতো একটি স্কুল মাতৃপীঠ স্কুল। পর পর তিনবার স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি। বিদ্যালয়টি কুমিল্লা বিভাগে ভাল ফলাফল করে আসছে। এ ধারাবহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে শিক্ষক ও অবিভাবদের অবদান রয়েছে বিশেষভাবে। স্কুলের কিছু সমস্যা রয়েছে এর মধ্যে বড় হলো স্কুল মাঠটি ছোট, শ্রেণী কক্ষোর স্বল্পতা ও অবকাঠামোগত সমস্যা। ক্রীড়া-সংস্কৃতি-সাহিত্যের পাশাপাশি পড়াশুনাকে প্রাধান্য দিয়ে সামনে আগাতে হবে। আমার এ সকল সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করছি। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, তোমার সবাই স্কুলে আসলে শিক্ষদের সাথে ভাল ব্যাবহার করো ঠিকই কিন্তু অনেকে আছো বাড়িতে মা-বাবার সাথে ভাল আচরন করো না। এ শিক্ষা নিয়ে বড় হলে বহবে না। মা-বাবার সাথে ভাল আচরন ও তাদের শ্রদ্ধা ছাড়া তুমি মানুষ হয়ে গড়ে ওঠতে পারবে না। তোমরা মাত্র ১২টাকা মাসিক বেতনে স্কুলে পড়ছে। সরকার তোমাদের একজনের পিছনে বারশত টাকার বেশী খরচ করছে। সরকার তোমাদের কাছে এর প্রতিদান চায়। তাহচ্ছে তোমারা যোগ্য নাগরিক হয়ে গড়ে উঠো। ভবিষ্যতে শুধু পুথিগত বিদ্যা দিয়ে চাকুরী পাওয়া যাবে না। তোমাদের অবশ্যই ইংরেজীতে ভাল বলতে পাড়া ও কম্পিটার জ্ঞান থাকতে হবে। তোমাদের দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য ধারন করে বড় হতে হবে। তিনি শিক্ষদের উদ্দেশ্যে বলেন, এ বিদ্যালয়ে ৪৫ জন শিক্ষক রয়েছেন। আপনাদের আন্তরিক হয়ে শিক্ষাদান করতে হবে। প্রত্যেকের নুন্যতম কম্পিউটার জ্ঞান থাকা দরকার। পুরোনো ধ্যানধারনাকে ত্যাগ করে নতুন মেধা ও মননশীলতা তৈরী করতে হবে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহার সভাপতিত্বে ও ইংরেজী শিক্ষক মাসুদুর রহমানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ আমির জাফর, চাঁসক সদ্যবিদায় অধ্যক্ষ প্রফেসর মিহির লাল সাহা, স্বাধীনতা পাদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডা. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন চাঁসক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুজ্জামান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ পাটওয়ারী, সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, সাবেক সভাপতি গোলাম কিবরিয়া জীবন, শিক্ষক খালেদা খানম, আলেয়া ফেরদৌস, ফজলুল হক, সিরাজুল ইসলাম পাটওয়ারী, জাকির হোসেন পাটওয়ারী, নাজির আহমেদ, আব্দুল খালেক, আব্দুল আউয়াল। অনুষ্ঠানের ধারা বর্ননায় ছিলেন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, শিরীন আক্তার, কামরুল আহসান গাজী, নাইমা সুলতানা, ওয়াসিম উদ্দিন, মৌসুমী নাজনিন। অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন দশম শ্রেণীর ছাত্রী যিদনী আক্তার ও গীতাপাঠ করেন দশম শ্রেণীর ছাত্রী অদিতি অধিকারী প্রতিযোগীদের ক্রীড়াঙ্গন পরিক্রমন ও অবিভাদন জানান আয়শা তামান্ন। শপথ পাঠ করান নবম শ্রেনির ছাত্রী তানজিলা তাবাচ্ছুম শাওলীন।