প্রতিনিধি
পবিত্র ঈদুল আযহা ঘনিয়ে এলেও এখনো ফরিদগঞ্জে জমে উঠছে না কোরবানির পশুর হাটগুলো। উপজেলার স্বীকৃত ৩২টি হাটের মধ্যে প্রায় প্রতিটি হাটের একই অবস্থা। ক্রেতা শূন্য হাট খাঁ খাঁ করছে। একদম ফাঁকা বললেই চলে। দূর-দুরান্ত থেকে আসা বেপারীগণ শুয়ে বসে অলস সময় পার করছেন। তবে শেষ সময়ে এসে কেনা বেচা বাড়তে পারে এ আশায় বুক বেঁধে আছেন বেপারী ও হাটের ইজারাদাররা।
ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার ওয়াপদা মাঠের পশুর হাটে ঘোরাফেরা করা এক কলেজ শিক্ষক জানান, গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম অনেক বেশি হাঁকাচ্ছেন বিক্রেতারা। বাজেটের একদম বাইরে। তাই তিনি পশুর দর-দাম করারই সাহস পাচ্ছেন না। তবে হাটে পর্যাপ্ত কোরবানির পশুর সমাগম দেখা গেছে।
হাটে গরু নিয়ে এসেছেন যশোর জেলার বাঘারপাড়ার তাহাজ্জদ (৫০)। তিনি বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এবার পশু ক্রয় করেছেন উচ্চ মূল্যে। ফরিদপুরের বোয়ালমারির ছাকন মোল্লা (৫৫)। তিনি আশা করছেন, ঈদের দু তিন দিন আগে থেকে হয়তো পশু বিক্রি পুরোদমে শুরু হবে।
এদিকে ক্রেতা শূন্য হাটে ইটের খোয়ার উপর দুপুর বেলায় শুয়ে থাকতে দেখা যায় রহিম (৪৫) নামের এক বেপারীকে। তাকে ডেকে তুলে জিজ্ঞেস করলে সরল জবাব দেন, ক্রেতা নেই, তাই ঘুমিয়ে আছি। এদিকে বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, এ বছর শুরু থেকে হাটগুলোতে প্রচুর পরিমাণে গরু উঠছে। দাম আপাতত একটু বেশি হলেও দেখে শুনে গরু কেনার সুযোগ পাওয়া যাবে। উপজেলার ভাটিয়ালপুর, নারকেলতলা, গৃদকালিন্দিয়াসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে হাটে প্রচুর গরুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।