স্টাফ রিপোর্টার: ॥
চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন ছোট বড় হোটেল ও ফাস্টফুডে খাবার সুস্বাদু’র নামে খাওয়ানো হচ্ছে বিষ। সিংঙ্গারা, পুরি, চমুচা, বারগারসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর সাথে খাবারের স্বাদ সৃষ্টির জন্য নিন্ম মানের এ সস্ বিক্রয় করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। অস্বাস্থ্যকর হওয়া সত্বেও সকলে বুঁঝে না বুঁেঝ নিন্ম মানের এ সস্রে নামে বিষ খেয়েই যাচ্ছেন প্রতিদিন। নিন্ম মানের সস্ সম্পর্কে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের (আরএমও) ডাঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, নিন্ম মানের সস্ এক ধরনের বিষ। এর ফলে মানব দেহে ব্যাকটেরিয়া আক্রমন করে থাকে। পেটব্যাথা, মাথা ব্যাথা, বুমি ও ডাইরিয়াসহ বিভিন্ন রোগ বালাই সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। যাদের গ্যাস্টিক রয়েছে তাদের গ্যাস্টিক আলসার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৮০ ভাগ। আর যদি রংয়ের মাত্রা বেশি হয়, তাহলে ক্যামিকেলের জন্য প¦ার্শ প্রতিক্রিয়া হতে পারে। অনুসন্ধান করে দেখা যায়, চাঁদপুর শহরের পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে ছোট বড় হোটেল ও ফাস্টফুডসহ অনেক খাবারের প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ নিন্ম মানের সস্ খাওয়ানো হচ্ছে খাদ্য সুস্বাদুর জন্য। স্থানীয় খাদ্য সামগ্রী বিক্রির প্রতিষ্ঠানে ঘুরে দেখা যায়, যে পাত্র বা বোতলে এ সস্ দেওয়া হয় তা পরিস্কার না করেই ব্যবহার করা হয়। সস্ কোথায় পাওয়া যায় জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিশ্চুক কয়েকজন হোটেল ব্যবসায়ী জানায়, শহরের পালবাজার সালামত ষ্টোর থেকে ৫ লিটার ১শ’ ৭০ টাকা ও ৬ লিটার সস্ ২শ’ ২০ টাকায় বিক্রি করে যাচ্ছে তারা প্রতিদিন। এসব শহর ও শহরতলীর শত শত খাদ্য সামগ্রী প্রতিষ্ঠান ক্রয় করে থাকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে খাদ্যের সাথে দেওয়ার জন্য। তবে ব্যবসায়ীরা জানায় এ সস্ স্বাস্থ্য সম্মত কিনা তা জানি না। সবাই খাচ্ছে ও খাওয়াচ্ছে, যার ফলে আমরাও তা খাদ্য সামগ্রী সুস্বাধু করার জন্য বক্ষনকারী ক্রেতাদের খাওয়াচ্ছি। পালবাজারের একজন তরুণ হোটেল ব্যবসায়ী জনৈক রুবেল পাটওয়ারী জানান, আমরা এ সস্ স্বাস্থ সম্মত কিনা তা জানি না। কুমিল্লার আশিয়ান ফুড নামক একটি প্রতিষ্ঠান ভ্রাম্যমান লোকদের মাধ্যমে প্রতি ৫ লিটারের একটি সস্রে কন্টিন ২শ টাকায় বিক্রি করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন যাবত। সরেজমিনে বিভিন্ন ফাস্টফুড ও হোটেলে ঘুরে দেখা যায় এসব সস্রে গায়ে বিএসটিআই এর অনুমোদনকৃত কোন সীল নেই। এ বিষয়ে জেলা মাকেটিং অফিসার এন এম রেজাউল ইসলাম বলেন, খাদ্যে ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর। এমন বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।