পৌষের শীতে বৃষ্টি। তাও সারাদিন থেমে থেমে। এ বৃষ্টিতে শীতের তীব্রতা বেড়েছে চাঁদপুরসহ আশপাশের উপজেলাগুলোতে। বিশেষ করে চাঁদপুরের চরাঞ্চলের মানুষের বেড়েছে চরম দুর্ভোগ।
শুক্রবার গভীর রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। ভোর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে থাকে। শুক্রবার সারাদিন কখনো মুষলধারে আবার কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরেছে। এতে শীত বাড়ার পাশাপাশি শীতকালীন ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
বৃষ্টি ও শীতের প্রকোপ বাড়ায় রাস্তাঘাট এবং দোকানপাটে লোকসমাগমও কম ছিলো। এ অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুররা। জেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র হাজীগঞ্জে গতকাল শুক্রবার ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে দুরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ নামাজ পড়তে আসে। জমে উঠে হাজীগঞ্জ বাজার। কিন্তু বৃষ্টির কারণে স্তব্ধতা বিরাজ করেছে প্রাচীন এ ব্যবসায়িক জনপদেও।
গত ক’দিন ধরে শীত বাড়ায় ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বয়স্কদের ভিড় বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আসিবুল আহসান চৌধুরী জানান, ঠাণ্ডা জনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বয়স্ক স্ট্রোক রোগীর সংখ্যাই এখন হাসপাতালে বেশি আসছে।