ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ
ব্যক্তি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য সংবলিত কোনো পোস্ট দেয়া ও লাইক-শেয়ার করা
থেকে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরত থাকতে বলা হয়েছে। কেউ তা না মানলে
আইনানুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯
(পরিমার্জিত সংস্করণ)’ নিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা এক পরিপত্রে এ
কথা জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই
পরিপত্র জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, সরকারি প্রতিষ্ঠানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের
মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও এর সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
‘সরকারি প্রতিষ্ঠান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার নির্দেশিকা, ২০১৯
(পরিমার্জিত সংস্করণ)’ প্রণয়ন করে। এ নির্দেশিকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
ব্যবহারে সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং কর্মচারীদের করণীয়-বর্জনীয় নির্ধারণ করা
এবং এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করার বিষয়ে উল্লেখ
করা হয়।
নির্দেশিকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দাফতরিক এবং ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট
তৈরি করা এবং এতে পরিহারযোগ্য বিষয়টি উল্লেখ রয়েছে। এরূপ নির্দেশনার আলোকে
সরকারের সব মন্ত্রণালয় বিভাগ এবং এর আওতাধীন অধিদফতর/পরিদফতর/সংস্থার
কর্মচারীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে আরও কতগুলো বিষয়
অনুসরণের জন্য পরিপত্রে অনুরোধ জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, অন্য কোনো রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি
সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য সম্বলিত কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও বা ভিডিও আপলোড,
কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন
মাধ্যমে সরকার বা রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো পোস্ট, ছবি,
অডিও বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কোনো রকম তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করা থেকে বিরত
থাকতে হবে। কোনো সমপ্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা
ধর্মনিরপেক্ষতার নীতির পরিপন্থী কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। সামপ্রদায়িক
সমপ্রীতি বিনষ্ট বা আইনশৃংখলার অবনতি ঘটতে পারে এমন কোনো পোস্ট, ছবি, অডিও
বা ভিডিও আপলোড, কমেন্ট, লাইক, শেয়ার করা থেকে বিরত থাকতে হবে বলে
পরিপত্রে উল্লেথ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনো
সার্ভিস/পেশাকে হেয় প্রতিপন্ন করে এমন কোনো পোস্ট দেয়া থেকে বিরত থাকতে
হবে। লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সংক্রান্ত বিতর্কমূলক কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে
না।
জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর মনোভাব সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো বিষয়ে লেখা,
অডিও বা ভিডিও ইত্যাদি প্রকাশ বা শেয়ার করা যাবে না। ভিত্তিহীন, অসত্য ও
অশ্লীল তথ্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে কোনো
‘কন্টেন্ট’ বা ‘ফ্রেন্ড’ সিলেকশনে সবাইকে সর্তকতা অবলম্বন এবং অপ্রয়োজনীয়
ট্যাগ, রেফারেন্স বা শেয়ার করা পরিহার করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের
অপব্যবহার বা নিজ অ্যাকাউন্টে ক্ষতিকারক কন্টেন্টের জন্য সংশ্লিষ্ট
কর্মচারী ব্যক্তিগতভাবে দায়ী হবেন এবং সেজন্য প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী
ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সূত্র : জাগো নিউজ।