
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া ১২৮ জনের গেজেট বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে ২৩ জনের নাম দ্বৈত গেজেটে ছিল, আর ১০৫ জন আহত বা আন্দোলনে সম্পৃক্ত না থাকায় তাদের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের প্রকাশিত গেজেট তালিকায় কিছু কিছু জুলাই যোদ্ধা আহত নয়, আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হয়নি এবং কয়েকজনের নামে একাধিক গেজেট প্রকাশিত হওয়ার গেজেট বাতিলের জন্য জেলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ বিভাগের ২১ জন, সিলেট বিভাগের ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯ জন, খুলনা বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের ৩ জন, ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩ জন, বরিশাল বিভাগের ২ জনসহ সর্বমোট ১২৮ জনের গেজেট বাতিল করেছে।
যে ১২৮ জনের নাম বাতিল হয়েছে তার মধ্যে দ্বৈততার কারণে ২৩ জন এবং আহত নয় বা আন্দোলনে সম্পৃক্ত নয় এদের মধ্যে রয়েছেন ১০৫ জন। যাদের গেজেট বাতিল করে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
ময়মনসিংহ বিভাগে রয়েছেন ২১ জন।
তার মধ্যে নেত্রকোনার সৈয়দ তরিকুল ইসলাম (৮০), মোহাম্মদ নুরুল আমিন (৮৮), তানভীর আহমেদ (১২১), মো. সজিব (১৯৮), সোহাগ মিয়া (১৯৯), রুবেল মিয়া (৩৬২), রাব্বি হাসান (৫৬৫), মো. আজহারুল ইসলাম বিপ্লব (৫৬৬), মো. আবু ফরিদ আহামেদ (৫৬৭), মো. সুজন মিয়া (১৫৫), মো. ইমন শাহারিয়া (১৬৫), মো. জসিম উদ্দিন (৩৬৩), কাজী আবুল বাশার সুমন (১২৩), রুহুল আমিন (১২৭), মো. আমি হাসান রুপম (১২৯), মোহাম্মদ আকিব তালুকদার (১৪৬), আশরাফুল ইসলাম জাসাম (১৭২), মো. মুশফিকুর রহমান (১৯৭), আফরিনা জান্নাত (৫৭০), মাজহারুল ইসলাম (৬৪৮) ও ময়মনসিংহের আবু নাঈম (৪৮৭)।
চট্টগ্রাম বিভাগে রয়েছেন ৩৯ জন।
তার মধ্যে চট্টগ্রামের মো. সাগর (৩২৮), আবদুল্লাহ আল নোমান (৪৬৯), নাঈম উদ্দীন সাইদ (৪৯২), মোহা. শরিফুল ইসলাম (৫১৫), শাহাদাত ইকরাজ তাহনি (৫২১), তাহমিনা ইকরাম (৫২২), ফরহাদ আলম (৬০১), নোয়াখালীর শেখ মো. রাশেল (১০৬৮), মো. জসিম উদ্দিন (১০৭৮), মো. বেলায়েত হোসেন (১১০০), মো. গিয়াস উদ্দিন (১১৬৩), মো. নাজিম মিয়া (১১৮১) ও মো. ইমাম হাসান (১১৮২), মোহাম্মদ সাজ্জাদ কবির এমরান (৬০৩), মুনতাসিরুল হক চৌধুরী মামুর (৬১৬), পবন চন্দ্র নাথ (৬২২), মিশকাত আলম রিয়াদ (৬৭৫), রমজান আলী (১৯৮৭), মাহিম চৌধুরী (১৯৯১), রিফাত বিন আল (১৯৯৯), লক্ষ্মীপুরের মো. মো. ইয়াছিন (৫৬০), আরফাতুল ইসলাম (৫৯৫), নূরুল্লাহ (৭৮৯), মোহাম্মদ রাফি (৭৯৯), ফয়সাল মোহাম্মদ শিহাব (৮০২), মোছা. ইছনিয়া আকতার (৮২৪), হাছান (২৫৮), আবু জুহামুল ইসলাম (১৮৮১), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মো. তানভির হোসেন (৪৩৭), মো. এমরান (৭১৭), মোহাম্মদ সাগর (৭৬৮), মাহিবী তাজওয়ার (৫৩৪), জসিম উদ্দিন (৫৪২), মো. আতিকুল ইসলাম (৫৫২), মো. মাঈনুদ্দীন (৮২৫), সাইমন (১৯৭৩), মো. আরিফ (১৯৭৬), রাসেল (১৯৮৬), চাঁদপুরের মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল নুর (১০৪৮)।
বরিশাল বিভাগে রয়েছেন দুজন।
তাদের মধ্যে পিরোজপুরের আলী (১৯৩) ও বরিশালের নাঈম (৬৩০)।
সিলেট বিভাগে রয়েছেন ২৬ জন।
তার মধ্যে মৌলভীবাজারের মো. আজমল আলী (২), নুর ইসলাম আহমেদ সুজন (১৫), মাহমুদুল হাসান (১৬), তামিম আহমদ (৪০), নবিবুর রহমান (৫৯), জিসাম হোসেন রাহী (৭৩), ইমাদ উদ্দিন আহমেদ (৮০), , মিনহাজুর রহমান রিমন (৪১), দেলোয়ার আহমেদ সেলিম (৪৬), মো. আলী হোসেন (৮৯), মো. রিয়াদ মাহমুদ রকি (৪৯), মো. আরিফুল ইসলাম (৫০), শেখ মো. মাহফুজুর রহমান মাহিন (৫১), জমির মিয়া (৫২), মো. রায়হান চৌধুরী (৫৪), সুনামগঞ্জের মো. রুহুল আমিন (৪৪৫), মোফাজ্জল হোসেন (৪৯১), , মো. সুমন (৯১), নাঈম আহমদ (৯০৬), সিলেটের ফখরুল হাসান (৩৫৬), মো. আফতাব উদ্দিন (৫৭১), মো. রুমান আহমেদ (৫৫), তারেকুল ইসলাম তারেক (৯০), হুমায়ুন আহমদ (৫৬), তানবির মিয়া (৫৭) ও আল-হেলাল মো. ইকবাল মাহমুদ (৫৮৫)।
ঢাকা বিভাগে রয়েছেন ১৪ জন।
তার মধ্যে গাজীপুরের রাসেল (৬৭০), জিহাদ (৩৪১৩), টাঙ্গাইলের খন্দকার রাজ (১০৬৩), রাফিউল নাঈম (১১৬১), নরসিংদীর মো. মঞ্জুমুল আলম জিসান (১৯৩২), মাদারিপুরের মো. সাইফুল ইসলাম শুভ (২৬৮২), মো. শাহিন (৭৩৩), মোছা. রুমি (৩৪৩১), রাশিদুল ইসলাম অনিক (১১৬৩), আব্দুল্লাহ আল রাহাত (১১৬৬), মুন্সীগঞ্জের মুহাম্মদ রিয়াজুল হাসান (২৮৩৮), বেলায়েত হোসেন শাহিন (২৮৩৯), রাজবাড়ীর মজিবর মৃধা (২৯৬৪) ও কিশোরগঞ্জের মো. মাসুদুর রহমান (৬৪৫), ঢাকা জেলার মো. মিরাজ শরীফ (১৪৮২)।
রাজশাহী বিভাগে রয়েছেন ১৩ জন।
তার মধ্যে পাবনার মো. সোহেল রানা (২৯৭), রাজশাহীর মো. মেহেদী হাসান অমি (৭৬০), , মেহেদী হাসান (৭৮৯), পলাশ (৮০৩), মো. জাহিদ হাসান (৮৩৪), বগুড়ার মো. সজিব আহমেদ (৩৮৪), রশিদা (৩৮৯), মো. নাঈম উদ্দিন (৭৮০), সিরাজগঞ্জের শ্রী দিপ্ত কুমার (৮৬২), নিরব কুমার দাস (১১৪৭), মো. সাইফুল ইসলাম (৭৯৬), মো. আলামিন (৮৬৪) ও মো. মহিউদ্দিন সরকার (৮৭৭)।
খুলনা বিভাগে রয়েছেন ৯ জন।
তার মধ্যে কুষ্টিয়ার মো. বদিউজ্জামান বাবুল (৪৮১), মো. সোহেল (৫০৮), মো. মিন্টু হাওরাদার (৫০৮) , মো. ইয়াছিন আহমেদ পাভেল (৪৯৮), মো. জিয়াউল মালিক (৫০৬), মাহাবুল হোসেন (১২১৩), মো. জুয়েল আক্তার জয় (৫০৫), খুলনার মো. মিনারুল ইসলাম (৫০১), ও খালিদ শামস প্রান্ত (৫০৯)।
রংপুর বিভাগে রয়েছেন ৩ জন।
তার মধ্যে লালমনিরহাটের মো. রাসিফুল ইসলাম প্রধান (১২৯৫), দিনাজপুরের মো. সুমন হোসেন (৭৪৫) ও ঠাকুরগাঁওয়ের সুমন (৩৮৮)।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যেসব ব্যক্তি প্রতারণার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং যাদের সহযোগিতায় সরকারি অর্থ আত্মসাৎ হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
