নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরে ভাড়া বাসায় দিনমজুরের স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হওয়ার পর পুলিশকে না জানিয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের বলাইরকান্দি গ্রামে সোমবার গভীর রাতে গোপনে দাফনের প্রস্তুতিকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। এ সময় নিহতের স্বামী আল-আমিনকে আটক করে মতলব উত্তর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার পুলিশ লাশ ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। আটক স্বামী আল-আমিনকে আদালতে সোপর্দ করে। নিহত আসমা বেগম (২২) কুমিল্লার দাউদকান্দি জেলার শাদারদিয়া গ্রামের হারুন গাজীর মেয়ে। প্রায় তিন বছর পূর্বে মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের বলাইরকান্দি গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে দিনমজুর আল-আমিনের (৩২) সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে দেড় বছরের ছেলে আরাফাত রয়েছে। আটক আল-আমিন জানায়, প্রতিদিনের ন্যায় আমি কাজে চলে যাই। বিকেলে বাসায় এসে দেখি স্ত্রী আসমা বেগম কীটনাশক পান করেছে। সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করলে লাশ ট্রাক যোগে মতলব উত্তরের বাড়িতে নিয়ে আসি দাফনের জন্য।
নিহত আসমা বেগমের বাবা হারুন গাজী জানায়, বিয়ের পর থেকে আল-আমিন আসমাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতো। গত সপ্তাহে মুঠোফোনে আল-আমিন আমাকে জানায় ১৫দিনে মধ্যে আপনার মেয়ের লাশ বাড়ি পৌছাবো বলে হুমকি দেয়। আসমার মৃত্যুর সংবাদ পর্যন্ত আমাদের জানানো হয়নি। আজ (মঙ্গলবার) সকালে আসমার শশুরবাড়ির অন্য ইসার লোকজন আমাদের ফোনে মৃত্যুর সংবাদ জানায়। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে আমরা ছুটে আসি। আমার ধারণা আসমাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। নাতি আরাফাতকে এখনো কাছে পায়নি।
সুলতানাবাদ ইউনিয়নের সদস্য নাজমুল হক জানান, রাতে লাশ নিয়ে আসার পর সন্দেহ হলে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, রাতেই সংবাদ পেয়ে লাশ উদ্ধার করি। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আটক আল-আমিনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিরোনাম:
শনিবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।