–এম আর ফারজানা–
শহরের ধুলো হাওয়া মাপা পদক্ষেপ থেকে
নিঃশ্বাস নিতে ছুটে যাই প্রিয় নদীর কাছে।
ঢেউয়ে ঢেউয়ে জলতরঙ্গের
সঙ্গীতে বয়ে চলে প্রিয় নদী,
একলা নিরবধি।
নদীর পাড়ে আঁকাবাঁকা মেঠো পথের
সবুজ ঘাসের সমাহার আমায় আমন্ত্রণ জানায়।
যেন বহু দিনের সখ্য তাদের সাথে আমার।
শ্যাওলা সরিয়ে নদীর জলে পা ডুবিয়ে বসি
শামুকেরা গুটি গুটি পায়ে শ্যাওলা গুলোকে আঁকড়ে ধরে।
মাছরাঙা ডুব দেয় গভীর জলে খাদ্যের আশায়।
দূরে এক অচেনা মাঝি গান ধরে,
আমি সেই গানের সুর মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনি
আমায় বিমোহিত করে আমি কথার কাব্য বুনি।
আকাশে মেঘের দল জমাট বাঁধে
যেন এখনি ঝড় তোলবে
মাঝি গান থামিয়ে ভেবে নেয় কূলে ভিড়াবে কি তরী ?
মেঘেরা বলে যায় আজ নয় মাঝি
অন্যদিন ঝড় হয়ে আসবো তুমি তৈরী থেকো।
সূর্য উকি দেয়, ঝিকিমিকি কিরণ পড়ে নদীর স্রোতে
রোদ্রের উজ্জ্বলতা ভেঙ্গে
পাখি উড়ে যায় তার অজানা গন্তব্যে
ফেলে যায় দুটি পালক নদীর জলে
ঢেউয়ের ভাঁজে ভাঁজে মাছেরা খেলা করে হিল্লোলে।
সূর্য হেলে পড়ে পশ্চিমে
দক্ষিনা বাতাস মায়ার পরশ বুলিয়ে যায় সবুজ ঘাসে।
দূরে কোন এক কিশোর নাটাইয়ে সুতো টানে
আকাশে দোল খাওয়া ঘুড়ি কাছে আনে
বাড়ী ফেরার আশায়।
সবকিছু আমাকে ছুঁয়ে যায়
আমি শান্ত হয়ে ক্লান্ত নদীর বয়ে চলা দেখি।
স্রোতের ছলছল মায়ামন্ত্র ধ্বনি বাজে আমার প্রাণে
হৃদয়ে বেজে উঠে সুর, ছন্দ মধুর।
গোধূলি ডুবে গিয়ে সন্ধ্যা নামে, জোনাকিরা আলো জ্বালে
নদীর অপরূপ সৌন্দর্য মায়া ছেড়ে
আমি পথ ধরি যান্ত্রিক নগরে ফিরবো বলে।
——–।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।