সাখাওয়াত হোসেন মিথুনঃ
হাজীগঞ্জ উপজেলার গরুর খামারিরা প্রত্যাশা অনুযায়ী দুধের দাম না পাওয়ায় এমনিতেই লোকসানে রয়েছে। এরা ওপর হঠাৎ করেই গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় তারা এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। গো-খাদ্য ওজনেও কম দেওয়া হচ্ছেঠ বলে খামারিদের অভিযোগ। খামারিরা জানান, সপ্তাহ তিনেক আগে প্রতিমণ খর ২৪০ টাকা ও প্রতিবস্ত্মা ভুষি(৩৭ কেজি) ৮৫০ টাকায় বিক্রি হত। অথচ বর্তমানে প্রতিমণ খর ৩২০ টাকায় ও প্রতিবস্ত্মা ভুষি ১১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে গো-খাদ্যের দাম প্রায় দেড় গুণ বাড়লেও গরুর দুধের দাম বাড়েনি। ফলে চোখে অন্ধকার দেখছেন খামারিরা। এ অবস্থায় লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই গরু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন। খামারিরা আরো জানান, প্রতি বস্ত্মায় ৩৭ কেজি করে ভুষি থাকার কথা থাকলেও প্রায়ই দুই থেকে তিন করে ভুষি কম পাওয়া যায়। এ ছাড়া গরুর প্রধান খাদ্য খর কিনতে গিয়েও খামারিদের প্রতারিত হতে হচ্ছে। প্রতিমণ খরে পাঁচ-সাত কেজি করে কম দেওয়ার পাশাপাশি ওজন বাড়াতে খরে পানি দেওয়া হচ্ছে বলে খামারিদের অভিযোগ। হাজীগঞ্জে বেশ কয়েকটি খর বিক্রির স্থান ঘুরে দেখা গেছে, মণ দরে খর বিক্রির কথা বলে বিক্রেতারা অনুমানের ভিত্তিতে তা বিক্রি করছেন। কোনো বিক্রেতারা কাছেই ওজন দেওয়ার মতো দাঁড়িপাল্লা বা সে ধরনের কিছু দেখা যায়নি। একাধিক খর বিক্রেতা জানান, এক সময় বিশেষ ধরনের দাঁড়িপাল্লার মাধ্যমে ওজন করে খর বিক্রি করা হলেও এখন অনুমানের ভিত্তিতেই তা বিক্রি করা হয়। এতে দুই-এক কেজি এদিক-ওদিক হলেও বড় ধরনের হেরফের হয় না বলে তারা দাবি করেন। ভুষি ব্যবসায়ী আতাউর রহমান বলেন, এত অল্প সময়ের মধ্যে ভুষির এমন মূল্য বৃদ্ধি এর আগে দেখা য়ানি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুষি ব্যবসায়ীরা জান্না, বেশির ভাগ ভুষি ব্যবসায়ীরা সঠিক ওজনে ভুষি বিক্রি করলেও গুটি কয়েক ব্যবসায়ীর জন্য অন্যান্যদের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। উপজেলার গ্রামঅঞ্চলে খামারিরা বলেন, এক মণ খ্যার (খর) কিনে ৩৪-৩৫ টাকায় পাওয়া যায় তার ওপর খ্যঅরে পানি দিয়ে তারা ওজন বাড়াচ্ছে। আবার ভুষি ব্যবসায়ীরাও ওজনে কম দিচ্ছে বলে খামারিরা জানান।
চাঁদপুর নিউজ সংবাদ