ডাঃ বশির মোহাম্মদ ইলিয়াস
সেদিন দেখলাম এক ভদ্রলোক তার সরকারী চাকুরি আরো সাত বছর বাকী থাকতেই পায়ের গ্যাংগ্রিনের কারণে স্বেচ্ছায় পেনশানে চলে গেলেন। ডায়াবেটিস রোগীদের সবচেয়ে বড় শত্রু হলো পায়ের আলসার বা ক্ষত-ঘা। সাধারণত নতুন জুতা ব্যবহার করতে গিয়ে প্রায়ই তাদের পায়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়ে যায়। দীর্ঘদিন ডায়াবেটিসে ভোগার ফলে যাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাদের ঘা আর শুকায় না বরং সেটি গ্যাংগ্রিনে পরিণত হয়। সহজ কথায় গ্যাংগ্রিন মানে হলো পঁচন। সাধারণত শরীরের কোন স্থানে ঠিক মতো রক্ত সাপ্লাই না হলে সেখানকার টিস্যু বা মাংস পচেঁ যায়। প্রচলিত চিকিৎসা পদ্ধতিতে এর কোন ভালো চিকিৎসা নাই। অপারেশন করে কেটে ফেলাই তাদের একমাত্র চিকিৎসা কিন্তু অপারেশনে গ্যাংগ্রিন তো সারেই না; বরং ধীরে ধীরে তা আরো মারাত্মক আকার ধারণ করতে থাকে। এলোপ্যাথিক ডাক্তাররা গ্যাংগ্রিন হলে প্রথমে আঙ্গুল কেটে ফেলে দেয়। তারপর গ্যাংগ্রিন যখন আরো বাড়তে থাকে, তখন ডাক্তাররা পায়ের গোড়ালী পযর্ন্ত কেটে ফেলে দেয়। তারপর হাটু পযর্ন্ত এবং শেষে কোমর পযর্ন্ত কেটে ফেলে দেয়। এই ধরণের বর্বর চিকিৎসার কারণে গ্যাংগ্রিনের যে-কোন রোগী সাধারণত অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
=======================
ডাঃ এস.জামান পলাশ
জামান হোমিও হল
চাঁদপুর
01711-943435
ওয়েব সাইট –www.zamanhomeo.com
ব্লগ–https://zamanhomeo.com/blog