মতলব উত্তর: মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মহসিন গাজীর স্ত্রী জোহরা বেগম (৩৫) গ্রাম্য ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় গত মঙ্গলবার (২১ মে, ২০১৩) মারা গেছে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার কৃষ্ণপুর গ্রামের মহসিন গাজীর অন্তস্বত্ত্বা স্ত্রী জোহরা বেগমের প্রসব বেদনা শুরু হলে চিকিৎসার জন্য পাশ্ববর্তী অলিপুর গ্রামের গ্রাম্য ডাক্তার আব্দুল জব্বারকে চিকিৎসার জন্য ডেকে আনেন। ওই পল্লী চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি জোহরা বেগম বাচ্চা প্রসব করার পর মৃত্যুবরণ করেন।
এ ঘটনাটি থানা প্রশাসন ও গজরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালামকে অবগত না করে কৃষ্ণপুর গ্রামে সালিশিদের যোগযাজসে জোহরা বেগমের লাশ দাফন করা হয়। নিহত জোহরা বেগমের ছোট ভাই আব্দুল মোতালেব অভিযোগ করেন, সুষ্ঠ মিমাংসার কথা বলে কৃষ্ণপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য কবির হোসেন, বর্তমান ইউপি সদস্য ইকবাল হোসেন, সালিশ আব্দুল হান্নান সরকার নির্দেশে থানা প্রশাসনকে জানা জানিয়ে লাশ দাফন করা হয়। জোহরা মৃত্যুবরণ করলে নবজাতক কন্যা বেচে আছে। এর পূর্বে জোহরার আরো দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। জোহরা বেগম সাদুল্যাপুর ইউনিয়নের শোভাইরকান্দি গ্রামের মৃত মোকসেদ আলীর মেয়ে।
ঘটনার সুষ্ঠ মিমাংসার জন্য বুধবার দুপুরে গ্রাম্য সালিশ বসে। গ্রাম্য সালিশগণ ডাঃ আঃ জব্বারকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করে। গ্রাম্য সালিশদের এ রায় ডাঃ আঃ জব্বার মানেনি। ফলে মতলব উত্তর থানায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা দায়েরে প্রস্তুতি চলছে।
গজরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আবুল কালাম বলেন, এ ঘটনার ব্যাপারে কেউ আমাকে অবগত করেনি। তাই আমি ঘটনার কিছুই জানিনা। উল্লেখ্য এর আগেও গ্রাম্য ডাঃ আঃ জব্বার এর ভুল চিকিৎসায় আরো ৪ জন প্রসূতি মৃত্যুবরণ করেন।
মতলব উত্তর থানার সেকেন্ড অফিসার উপ-পরিদর্শক মোঃ মনির হোসেন এর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জোহরা বেগমের দূরসম্পর্কের আত্মীয় বুধবার বিকেলে থানায় এসেছিল। জোহরার নিকট আত্মীয়দের মাধ্যমে চাঁদপুর আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তবে এ বিষয়টি নিয়ে অফিসার ইনচার্জ খান মোঃ এরফান ছুটিতে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া যায়নি।