
শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যানদি ইউনিয়নের সফরমালি ভুইয়া বাড়ীর নিবাসি কাওরান বাজারের কাঁচা মালের ব্যাবসায়ি ওলিউর রহমান কালুকে ঘুমন্ত অবস্থায় তার বন্ধু ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। একই গ্রামের নরপশু আলমগীর হোসেন মুন্না তার বন্ধু কালুর ব্যাবসায়িক কাজের টাকা আত্মসাৎ করতে গত শনিবার বিকাল ৪ টায় এ ঘটনা ঘটায়। ঘটনার পরে কালুর আত্মচিৎকারে পাশের ভাড়াটিয়া দেখতে পেয়ে নরপশু মুন্নাকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে । গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তেজতুরি বাজারে নিহত ব্যবসায়ী ওলিউর রহমান কালুর লাশ চাঁদপুরে আনা হয়। শনিবার আছর নামাজের পর সদর উপজেলার সফরমালি গ্রামের স্কুল মাঠে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। পরে পারিবারিক গোরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
এর আগে বিকেলে রাজধানী থেকে ওলিউর রহমান কালুর লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
নিহত ব্যবসায়ী কালু স্ত্রী ও একমাত্র শিশু সন্তান রেখে গেছেন। সে ৪ ভাই ৪ বোনের মধ্যে সবার ছোট।
জানাযায়, ক্যানদি ৬ নং ওয়ার্ডের ভুইয়া বাড়ীর মৃত আমির ভুইয়ার ছেলে ওলিউর রহমান কালু দীর্ঘ ১০ বছর ঢাকার কাওরান বাজার জনতা টাওয়ার এর পশ্চিম পাশে নবী সোলেমানের ফাটে কাচা মালের ব্যাবসা করতো। ফার্মগেট এলাকার পূর্ব তেজকুনি বাজার একটি ভবনের ৭ তালায় ভাড়া থাকতো। তার গ্রামের পাশের বাড়ীর নুরুল ইসলাম মাঝির ছেলে আলমগীর হোসেন মুন্না (৩৫) ঢাকা মহাখালি এমব্রয়ডারি কারিগর হিসেবে কাজ করা অবস্থায় কালুর বাসায় আসা যাওয়া করতো। ঘটনার দিন শনিবার দুপুরে মুন্না কালুর বাসায় এসে দুপুরে খাওয়া দাওয়া শেষে একই বিছানায় ঘুমিয়ে থাকে। নিহত কালুর ব্যাসায়িক প্রায় ৫ লক্ষ টাকা ব্যাংক বন্ধ থাকার কারনে বাসায় তার আলমারিতে রাখে। নরপশূ মুন্না তার পূর্ব থেকেই টের পেয়েছিলো। সেই টাকা আত্মসাৎ করতে ঘুমন্ত অবস্থায় বন্ধু কালুর গলায় ছুরি বসিয়ে জবাই করে হত্যা করে। মর্মান্তি এ ঘটনার সময় কালু ধস্তাধস্তি করলে তার আত্ম চিৎকাওে পাশের ফাটের ভাড়াটিয়ারা এসে রক্ত দেখতে পেয়ে বাহির দিয়ে দরজা আটক করে দেয়। এ সময় তারা থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ঘাতক আলমগীর হোসেন মুন্নাকে গ্রেফতার করে। পরে নিহতের স্বজনরা লাশ গত রবিবার দুপুরে চাঁদপুৃরের কল্যানদি গ্রামে নিয়ে আসে। লাশ নিয়ে আসার পর গ্রামের হাজারো মানুষ তাকে দেখার জন্য এসে ভীড় জমায়। এ সময় তার স্বজনদের মাঝে শোকের ছাঁয়া নেমে আসে। আছর নামাজের পর সফরমালি স্কুল মাঠে জানাজায় নামাজের ইমামতি করেন শহরের বাসষ্টেন্ড জামে মসজীদের ইমাম মাওলানা নুরুল ইসলাম। জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। এ সময় সহিংস খুনের ঘটনায় ঘাতক মুন্নার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী কামনা করেন এলাকাবাসি।
শিরোনাম:
বৃহস্পতিবার , ১৩ নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৯ কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।
