প্রতিনিধি ঃ
জেলার বহুল আলোচিত হাইমচর উপজেলা নির্বাচন এখন শুধুমাত্র দিন তারিখ ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে জেলার ৭টি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হলেও সীমানা জটিলতা সংক্রান্ত মামলায় এ উপজেলার নির্বাচন বন্ধ হয়ে যায়। অবশেষে নির্বাচনের বিরুদ্ধে করা রিট মহামান্য হাইকোর্টে খারিজ হওয়ায় উপজেলার সর্বত্র আবারও নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। বর্তমান সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে মতায় আসার পর সারাদেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণা দেয়। সে মোতাবেক নির্বাচন কমিশন সারাদেশের উপজেলাগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে কয়েক ধাপে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। ১ম ধাপে চাঁদপুর জেলার ৫টি উপজেলা নির্বাচনের আওতায় আসে। তফসিল অনুযায়ী ২৭ ফ্রেবুয়ারী ছিলো হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের নির্ধারিত দিন। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ, দাখিল, যাচাই-বাছাই ও প্রত্যাহার শেষে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। প্রতীক পেয়েই প্রার্থীরা উপজেলার সর্বত্র প্রচার প্রচারণা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এরই মধ্যে গুঞ্জন উঠে উপজেলার ঈশানবালার জনৈক রায়হান খান শরীয়তপুরের সাথে হাইমচরের সীমানা বিরোধ দেখিয়ে নিজের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন বন্ধের দাবি জানিয়ে মহামান্য হাইকোর্টে ১টি রিট পিটিশন দায়ের করেন। প্রার্থী, ভোটার ও প্রশাসন যখন নির্বাচনের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স বিতরণ চলছিল, ঠিক সে মুহূর্তে অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি অপরাহ্নে আকস্মিক সংবাদ আসে মহামান্য হাইকোর্ট হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করেছে। গত ৬ জুলাই রবিবার মহামান্য হাইকোর্টের বিচারপতি মির্জা হোসেন হায়দার ও মোঃ খুরশিদ আলম সরকারের বেঞ্চে শুনানি শেষে নির্বাচন বন্ধের রিট পিটিশনটি খারিজ হয়ে যায়। এতে করে হাইমচর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন গ্রহনে আর কোন বাঁধা রইল না। এখন শুধুমাত্র দিন তারিখ নির্ধারন করা বাকী।
শিরোনাম:
বুধবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।