শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥ চাঁদপুর শহরের ওয়ারলেছ বাজার এলাকার ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধীবাসী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্বামীকে ছেড়ে পরকীয়া প্রেমিককে বিয়ে করে একের পর এক মামলা দিয়ে হয়রানি করে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা চালায়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ওয়ারলেছ দর্জি বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোঃ কোব্বাদ আলী দর্জির ৩ বছর পূর্বে মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী সন্তান ঘোড়ামারা আশ্রয়ন প্রকল্পে সাতের-১ নম্বর ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তার ছেলে মালেক দর্জি দেড় বছর পূর্বে আশিকাটি ইউনিয়নের কামাল হোসেনের মেয়ে ফারজানার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সেই বিভিন্ন ছেলেদের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। অবশেষে কিছু দিন পূর্বে লাকসামের জনৈক এক ছেলের সাথে মোবাইলে সম্পর্ক গড়ে তোলে স্বামীকে ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। ফারজানার পালিয়ে যাওয়ার পর তার ভাই রুবেল ও বড় বোন লাকী পরিকল্পিতভাবে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মুক্তিযোদ্ধার ছেলে মালেক দর্জি ও তার পরিবারকে মিথ্যা মামলায় দিয়ে হয়রানি করে। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা মরহুম কোব্বাদ আলী দর্জি মারা যাওয়ার পর তার ২ মেয়ে ছেলেও স্ত্রী জাহানারা বেগম সর্বস্ব হারিয়ে আর্থিক সংকটে ভোগে অবশেষে ঘোড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্পে এসে আশ্রয় নেয়। তার ছেলে মালেক দর্জির স্ত্রী ফারজানা অন্য ছেলের সাথে পালিয়ে যাওয়ার পর তার ভাই ও বোন একের পর এক মিথ্যা মামলা এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের হয়রানি করে। চাঁদপুর মডেল থানার এ.এস.আই আজাদ সরেজমিনে গিয়ে ঘটনা তদন্ত করে সকল অভিযোগ মিথ্যা তা প্রমাণ পায়। আশিকাটি ইউনিয়নের কামাল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে জানা যায়, তার বড় মেয়ে লাকী হাজীগঞ্জে গার্মেন্টেসে চাকরী করা অবস্থায় চুরির ঘটনায় জেল খাটে। তার ছেলে কামাল আশিকাটি ইউনিয়নে ইয়াবা, গাজা সহ বিভিন্ন মাদক বিক্রি করে এলাকার যুব সমাজ ধ্বংস করছে। ছোট মেয়ে ফারজানা এলাকায় থাকা অবস্থায় ডজনখানীক ছেলেদের সাথে সর্ম্পক গড়ে তোলে অনৈতিক কাজ করে কয়েকবার এলাকাবাসীর কাছে ধরা পড়ে। পরে কামাল হোসেনের মেয়ে ফারজানা ঘোড়ামারায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে মুক্তিযোদ্ধা কোব্বাদ আলী দর্জির ছেলে মালেক দর্জিকে প্রতারণা ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। বিয়ের দেড় বছর পরেই লাকসামের ছেলের সাথে বিয়ে করে ঘর সংসার করছে। কিন্তু ফারজানার মা রওশনআরা বেগম ভাই রুবেল ও বড় বোন লাকী মুক্তিযোদ্ধা পরিবাররের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করেন। এব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা কোব্বাত আলী দর্জির স্ত্রী জাহানারা বেগম জানায়, ছেলে মালেক দর্জিকে বিয়ে করানোর পর তার স্ত্রী জাহানারা একের পর এক বিভিন্ন ছেলের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে অন্য ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। এ ঘটনার পর তার ভাই ,বোন মা, একের পর এক মিথ্যা মামলা দেয়। এছাড়া তারা মেরে ফেলার হুমকী সহ বিভিন্ন লোকজন দিয়ে এলাকা থেকে তুলে নিবে বলে হুংকার দেয়।
শিরোনাম:
সোমবার , ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ , ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।