চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের আয়োজনে ৯ম প্রাণ ফ্রুটিক্স ইলিশ উৎসবের ৪র্থ দিনের কর্মসূচি গতকাল ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেল ৩টায় ক ও খ গ্রুপে সৃজনশীল নৃত্য প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে কর্মসূচির সূচনা হয়। এতে ২টি বিভাগে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের ক্ষুদে শিল্পীরা অংশ নেয়।
বিকেল সাড়ে ৫টায় ইলিশ বিষয়ক প্রীতি বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বির্তকের বিষয়বস্তু ছিলো “ইলিশ উৎসব যতটা না উদ্যাপনের তার চেয়ে অধিক হলো চেতনার”। বিতর্কে অংশ নেয় চাঁদপুর সরকারি কলেজ বনাম চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ। এতে সভাপ্রধানের দায়িত্বে ছিলেন চতুরঙ্গের মহাসচিব হারুন আল রশীদ এবং মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন চাঁদপুর কন্ঠর বিতর্ক ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক রাজন চন্দ্র দে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সুরধ্বনি একাডেমীর শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ইলিশ বিষয়ক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর এ নাম করণ করা হয়েছে। ইলিশ রক্ষার আন্দোলনের সাথে চতুরঙ্গ জড়িত রয়েছে। ব্র্রান্ডিং জেলা হিসেবে চাঁদপুর সারা বাংলাদেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে। তার জন্য ৬ কর্মকর্তা পদক পেয়েছে। তার অন্যতম ভূমিকায় রয়েছে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন আয়োজনে ইলিশ উৎসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ২২ অক্টোবর মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান। এ অভিযানকে সফল করতে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা সবাই মিলে ইলিশকে রক্ষা করবো। ইলিশ উসবের সফলতা কামনা করছি। আমরা চতুরঙ্গের পাশে আছি এবং থাকবো।
তিনি আরো বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পাদ। এ সম্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের জাটকা ও মা ইলিশ নিধন বন্ধ করতে হবে। চাঁদপুরের ইলিশ অনন্য। আসুন আমরা সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখি। আমরা চাঁদপুরবাসী গর্বিত যে মহান আল্লাহ্ আমাদের জেলায় পৃথিবির বিখ্যাত সু-স্বাসাদু ইলিশ মাছ দিয়েছেন। এই ইলিশের জন্য আমরা আজ বিশ্বব্যাপী অনেক পরিচিতি পেয়েছি। বর্তমান সরকার ইলিশ রক্ষার দিকে অনেক বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন। সরকারের নির্দেশে চাঁদপুরের প্রশাসন বিগত সময়ে অনেক কঠোর অবস্থানে ছিলো। যার ফলে এবছর ইলিশের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। এই ইলিশকে সুরক্ষা করতে হলে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। আমি ইলিশ উৎসবের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।