চাঁদপুর: চাঁদপুর জেলার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বেশ ক’টি বড় বড় নদী। এসব নদীগুলোর মধ্যে পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া-ধনাগোদা প্রধান। এসব নদী যুগ যুগ ধরে পাড় ভেঙ্গে প্রতিবছর বহু লোককে ছিন্নমূল করে দিচ্ছে। এসব ছিন্নমুল অসহায় পরিবারগুলো আশ্রয় নিচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, কোন সড়কের পাশে অথবা আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে। চাঁদপুর, হাইমচর ও মতলব উত্তর উপজেলার মধ্যবর্তী স্থান দিয়ে প্রমত্তা মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদী বহমান। এ ৩টি উপজেলার পশ্চিম পাড়ে রয়েছে ছোট বড় ৩৫টি চর। এসব চরের কয়েকটিতে আবার দীর্ঘ ৬০/৭০বছর যাবৎ মানুষ বসবাস করে আসছে। এক হিসেবে দেখা গেছে এসব চরে লক্ষাধিক লোক বসবাস করছে। চরের এ লোকজন পেশায় কৃষি ও মৎস্য শিকার করে জীবীকা নির্বাহ করছে। এরা প্রতিনিয়ত প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে আছে। কিন্তু এসব চরে রয়েছে আল্লাহর দেয়া প্রাকৃতি ঘাস। এতে ধান, পাট, মরিচ, চয়াবিনসহ বিভিন্ন রকমের সবজি প্রচুর উৎপন্ন হয়। এছাড়া পেঁপে, কলাসহ বিভিন্ন ফল-ফলাদি হয় প্রচুর। চরের লোকজনকে সহজে চরের মাটি ছেড়ে অনত্র্য নিয়ে যাওয়া যায় না। কারণ এ চরেই তাদের বসবাস করে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে। এরা জনপ্রতি ২/৩টি করে গবাদি পশু পালন করে থাকে। প্রাকৃতি ঘাস খেয়ে সহজেই এসব পশু মোটা তাজা হচ্ছে এবং প্রতিদিন শত শত মন দুধ দিচ্ছে। চরাঞ্চলের লোকজনের একটাই দুঃখ, তাদের উপযুক্ত শিক্ষা, চিকিৎসা, যোগাযোগ ইত্যাদির কোন ব্যবস্থা নেই। এমনকি সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারও বছরে ২/১বার তাদের খোঁজ খবর নিতে চরে যান না। প্রাকৃতিক দূর্যোগের বিশেষ করে বড় সাংকিতিক চিহ্নের সময় যখন ঘূর্ণিঝড় উঠে, তখন তাদের আশ্রয় নেয়ারমত তেমন কোন ব্যবস্থাই নেই এখানে। যে কয়টি আশ্রয় কেন্দ্র আছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। বর্তমানে এসব চরাঞ্চলের লোকজনের জন্য উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মতামত অনুযায়ী এ ৩টি উপজেলায় আশ্রয় কেন্দ্র কাম স্কুল ভবন রয়েছে ৮টি। এতে চরাঞ্চলের সকল নারী, পুরুষ ও শিশুদের আশ্রয় নেওয়া কোন অবস্থাতেই সম্ভব হয় না। ফলে তারা প্রকৃতির সাথে জীবন বাজি রেখেই বেঁচে আছে।
শিরোনাম:
বুধবার , ৯ জুলাই, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২৫ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।