
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট: চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, গত পরশু দিন রাতে হঠাৎ করেই এ জায়গাতে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। এ ভাঙ্গনের কথা শুনেই আমরা এ এলাকায় পরিদর্শন করি। তখন আমরা তড়িৎ গতিতে মাটির বস্তা ফেলার ব্যবস্থা করি, যেন ভাঙ্গন রোধ করা যায়। আজকেও এখানে বস্তা ফেলা হচ্ছে। আরো দশ হাজার বস্তা ফেলতে হবে। আমরা আশাকরছি এতে ভাঙ্গন রোধ করা যাবে।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় হরিসভা মন্দির সংলগ্ন চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে ফাটল এলাকায় ভাঙ্গন রোধের কাজের পরিদর্শনকালে তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, আমরা মন্ত্রনালয়ে লিখেছর যেন আরো ৫০ হাজার বস্তা আমাদের মজুদ থাকে। যেন আমরা তড়িৎ গতিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি। চাঁদপুরকে রক্ষা করতে আমরা সবসময় সচেষ্ট আছি।
ভাঙ্গন এলাকায় কাজের পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইরফাত জামিল, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ মোশারফ হোসেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আশ্রাফুজ্জামান খান, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মালেক শেখ, ঠিকাদার মারুফ মজুমদার প্রমূখ।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে হঠাৎ এ এলাকায় ভাঙ্গন দেখা দেয়। তাৎক্ষণিক এ খবর পেয়ে রাত ১০টায় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ইরফাত জামিল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ভাঙ্গন রোধে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ প্রস্তুত করে সেগুলো ডাম্পিং এর ব্যবস্থা করার প্রস্তুতি নেয়া হয় এবং ডাম্পিং করা হয়।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/