সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট: শহরাঞ্চলের মানুষের নিরাপদ পানি নিশ্চিত হয়েছে অনেক আগেই। এখন গ্রামাঞ্চলের শতভাগ মানুষের নিরাপদ পানি নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার। এ লক্ষ্যে শতভাগ নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার গ্রামাঞ্চলে ‘নিরাপদ পানি সরবরাহ’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সারাদেশের গ্রামাঞ্চলের মানুষ নিরাপদ পানি পাবেন। সেই সঙ্গে উন্নত হবে গ্রামাঞ্চলের মানুষের জীবনমান। এই প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ৫২ জেলার মধ্যে চাঁদপুর জেলায়ও স্থাপন করা হবে পানি পরীক্ষাগার।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, চাঁদপুরে গভীর নলকূপ এর জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য থেকে শুরু করে ইউপি চেয়ারম্যান এবং রাজনৈতিক পদ পদবীর লোকজন দালালী করেন। জনপ্রতিনিধির কাজ যে এলাকায় গভীর নলকূপ নেই সেই এলাকা নিরাপদ পানি নিশ্চিত করা। কিন্তু তারা নগদের জন্য এই কাজটি সঠিকভাবে করছে না। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ এর লোকজন দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত। কিন্তু সরেজমিন তদন্ত করে সরকারের প্রকল্প অর্থ কিভাবে ব্যয় হচ্ছে তা তদারকি করা এখন সময়ের দাবী বলে মনে করেন ভুক্তভোগী মহল।
জানা যায়, বর্তমানে একটি নলকূপ বা নিরাপদ পানির উৎস ৮৭ জন ব্যবহার করছেন। এতে করে সবার জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত হচ্ছে না। প্রতি ৫০ জন একটি নলকূপ ব্যবহার করলে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা তৈরি করা সম্ভব হবে। এই লক্ষ্য পূরণেই সরকার সারাদেশে নলকূপ বা নিরাপদ পানির উৎস তৈরি করার জন্য ৮ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হচ্ছে প্রকল্প বাস্তবায়ন মনিটরিং বা তদারকি। এজন্য তৈরি করা হয়েছে একটি এ্যাপস। এই এ্যাপসের মাধ্যমে হেড কোয়ার্টার থেকে সারাদেশের কাজ মনিটরিং করা হচ্ছে। কোথায় কতটুকু কাজ হচ্ছে তা প্রধান অফিস থেকেই দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশে এই প্রথম তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছে।
সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়। প্রশাসনিক অনুমোদন পায় ২০২০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি। প্রকল্পের উদ্দেশ্য, ‘সারাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবনমান উন্নয়ন’ করা।
চাঁদপুরনিউজ/এমএমএ/