চাঁদপুর জেলায় এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় ফলাফল সন্তোষজনক নয়। গত বছরের তুলনায় এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বাড়লেও পাসের হার কমেছে। দু’ বছরের ফলাফল পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, এবার জেলার আটটি উপজেলাতেই গত বছর থেকে পাসের হার অনেক কম। চাঁদপুর শহরসহ জেলার অন্য নামী দামী কলেজগুলোতে পাসের হার এবার অনেক কম। এ দিকে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবার ৬ষ্ঠ ও ৭ম স্থান অধিকারী যথাক্রমে আল-আমিন স্কুল এন্ড কলেজ ও হাজীগঞ্জ মডেল কলেজ জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা অনেক বাড়লেও পাসের হার গত বছরের চেয়ে এবার অনেক কমেছে।
শনিবার সারাদেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীৰার ফলাফল প্রকাশিত হয়। চাঁদপুর জেলায় এবার এইচএসসিতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ১৪ হাজার ৫৬ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ৮ হাজার ৭শ’ ১৭ জন। পাসের হার ৬২.০১। জিপি-৫ পেয়েছে ৪১৭ জন। আর গত বছরের ফলাফলে দেখা গেছে যে, মোট পরীৰাথী ছিলো ১১ হাজার ৯শ ৬৯ জন, পাস করেছে ৯ হাজার ৪শ’ ৭৯ জন, পাসের হার ৭৯.১৯। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩শ’ ৪১ জন। দু’ বছরের তুলনামূলক এ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে যে, এবার জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা বাড়লেও পাসের হার অনেক কমেছে।
উপজেলাভিত্তিক ফলাফল হচ্ছে : চাঁদপুর সদরে মোট পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৩শ’ ৭২ জন, পাস করেছে ২ হাজার ১শ’ ৬ জন, পাসের হার ৬২.৪৫ ভাগ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১শ’ ৪৯ জন।
হাজীগঞ্জে মোট পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৫শ’ ৪৪ জন, পাস করেছে ২ হাজার ১শ’, ৩৯ জন, পাসের হার ৮৪.০৮ ভাগ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১শ’ ৯৭ জন।
শাহরাস্তিতে মোট পরীৰার্থী ১ হাজার ২ জন, পাস করেছে ৭শ’ ৭০ জন, পাসের হার ৫৪.৯২ ভাগ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন।
কচুয়ায় মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৮শ’ ৩ জন, পাস করেছে ১ হাজার ২শ’ ৩৯ জন, পাসের হার ৬৮.৪১ ভাগ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩২ জন।
ফরিদগঞ্জে মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৭শ’ ৬১ জন, পাস করেছে ৯শ’ ৮৫ জন, পাসের হার ৫৫.৯৩ ভাগ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩ জন।
মতলব দক্ষিণে মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৩শ’ ৭৪ জন, পাস করেছে ৪শ’ ৫৫ জন, পাসের হার ৩৩.১১ ভাগ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০ জন।
মতলব উত্তরে মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৫শ’ ৮৪ জন, পাস করেছে ৭শ’ ৬২ জন, পাসের হার ৪৮.১০ ভাগ।
হাইমচরের একমাত্র কলেজে মোট পরীক্ষার্থী ৪শ’ ১৬ জন, পাস করেছে ২শ’ ৬১ জন, পাসের হার ৬২.৭৪ ভাগ, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন।
একমাত্র মতলব উত্তর উপজেলা থেকে একজনও জিপি-৫ পায়নি।