গোলাম মোস্তফা //
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান, সাবেক ছাএ ও যুব নেতা, জাতীয় পাটি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মোঃ মনিরুল ইসলাম মিলন পদোন্নতি দিয়ে জাতীয় পাটির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
জনাব, মনিরুল ইসলাম মিলন নব্বই’র দশকের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি ও পল্লীবন্ধু এরশাদের শাসনামলে দেশের ও জনগণের স্বাথে করা সকল উন্নয়ন মুলক কমকান্ডের কারনে একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে তাঁর মরহুম পিতা জামাল হোসেন পাটোয়ারী সহ পুরো পরিবারের সকল সদস্যদের জাতীয় পাটি ও এরশাদের প্রতি বেশ দূবলতা ছিলো। যে কারণে ১৯৯১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় এরশাদের হাতে গড়া সংগঠন তৎকালীন সংগ্রামী ছাএ সমাজ আজকে জাতীয় পাটির ছাএ সংগঠন জাতীয় ছাত্র সমাজের রাজনীতিতে যুক্ত হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াবস্থায় জাতীয় ছাত্র সমাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ সভাপতি নিবাচিত হয়ে নেতৃত্বের যাএা শুরু করেন। একজন ছাএ নেতা হিসেবে তাঁর মেধাবী, যোগ্য দক্ষতার কারণে
জাতীয় ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতির দায়িত্ব পান।
ছাএ রাজনীতিতে তাঁর গুনাবলী দক্ষ ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে পল্লীবন্দ্বু এরশাদের নজরে পড়েন। তিনি ছাএ রাজনীতি কালে এরশাদ মুক্তি আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশি নিযাতন, তৎকালীন সরকার দলীয় গুন্ডা বাহিনীর আক্রোশের এবং মামলার আসামী সহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের শিকার হন। তিনি তৎকালীন ছাএ নেতা হিসেবে সকল রক্ত চক্ষুর আগ্রাসনের কাছে মাথানত না করে এবং সকল হুমকী ধমকী কে উপেক্ষা করে ঢাকার রাজপথে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করার কারনে এরশাদের নজরে আসেন। যে কারণে তিনি একজন স্নেহধন্য কমী থেকে আজ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ছাএ রাজনীতি শেষে যুব রাজনীতিতে বলিষ্ঠ ও সক্রিয় ভুমিকা পালন করার কারনে জাতীয় যুব সংহতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি নিবাচিত হন। রাজনীতিতে তাঁর দক্ষ যোগ্য, সততা কারণে তাকে পল্লীবন্ধু এরশাদের খুব আদর ও স্নেহ করতেন। যে কারণে তাকে জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন । তাঁর রাজনৈতিক মেধা ও প্রঞার কারণে ধীরে ধীরে রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর পা আরো সুদৃড় হয়। ৮ম জাতীয় সন্মলনে কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুগ্ম মহাসচিব নিবাচিত হন।
রাজনৈতিক মাঠে কারিসসিমাট্রিক গুনাবলী ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে একজন ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ও পরিচিতি লাভ করেন । রাজনৈতিক অঙ্গনে দলমত নিবিশেষে সকলের কাছে সজ্জ্বন এবং সৎ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে চাঁদপুরের বিশেষ করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা বাসীর কাছে জনপ্রিয় একজন নেতা হিসেবে আগামীর আশা আকাঙ্খার নেতা হিসেবে পরিচিত মুখ। সবশেষ জাতীয় পাটির কেন্দ্রীয় কমিটির ৯ম জাতীয় কাউন্সিলে শেষে পাটির গঠনতন্ত্রের ধারা ১২ এর ৩ উপধারা মোতাবেক পাটির চেয়ারম্যান ও সংসদীয় বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের গত ১৫ জানুয়ারী স্বাক্ষরিত এক পএে মনিরুল ইসলাম মিলন কে পাটির যুগ্ম মহাসচিব থেকে পদোন্নতি দিয়ে চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দেন।
উল্লেখ্য মনিরুল ইসলাম মিলন ফরিদগঞ্জ উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব ভাওয়াল গ্রামে সম্ভান্ত্র মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।তিনি অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মরহুম জামাল হোসেন পাটোয়ারী ও মিসেস ফাতেমা বেগম দম্পতির ৫ সন্তানের মধ্যে বড় সন্তান। তিনি ১৯৭০ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী জন্ম গ্রহণ। তিনি গত ২০১৪ ও ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নিবাচনে চাঁদপুর – ৫( ফরিদগঞ্জ উপজেলা ) আসনে লাঙ্গল প্রতীকের প্রাথী হিসেবে তাকে জাতীয় পাটির মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু মহাজোটের কারণে এ আসনে মহাজোটের প্রাথী হিসেবে আওয়ামীলীগের প্রাথী কে সমথর্ন দেন। তিনি তাঁর আগামীর দিনগুলোর জন্য সকলের দোয়া কামনা করেন।