চাঁদপুরের গ্রীণ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের রক্তের রিপোর্ট বদলে গেল নারায়ণগঞ্জে
ডাঃ শান্তার সতর্কতায় রক্ষা পেলো একটি জীবন
চাঁদপুরের প্রসূতি রিমা সাহার(২৭) ব্লাড গ্রুপ দুই বছরের ব্যবধানে ‘এবি’ পজিটিভ থেকে ‘ও’ পজিটিভে রূপান্তরিত হয়ে গেছে! চাঁদপুরের সিভিল সার্জন এস. এম আব্দুস সাত্তার এ প্রসঙ্গে জানান, এ ধরনের তথ্য অবিজ্ঞান সম্মত, অবাস্তব ও কাল্পণিক। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৩১ অক্টোবর সন্তান সম্ভবা রিমা সাহাকে চাঁদপুরের গ্রীণ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার ও চাঁদপুর সেন্ট্রাল হসপিটাল (প্রাঃ) লিঃ এ ভর্তি করা হয়েছিল। ডাঃ ফাতেমা বেগমের তত্ত্বাবধানে রোগিনী (যার কেবিন নং ছিল ২০৩) রিমা সাহার সন্তান প্রসবপূর্ব রক্ত পরীক্ষা করানো হয় চাঁদপুর সেন্ট্রাল হসপিটাল (প্রাঃ) লিঃ এর সহযোগি প্রতিষ্ঠান গ্রীণ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। কনসালট্যান্ট প্যাথলজিষ্ট ডাঃ এস, এম সহিদউল্লাহ স্বাক্ষরিত এ্যানালাইসিস রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় গ্রুপিং ‘‘এবি” এবং ‘আরএইচ’ ফ্যাক্টর পজিটিভ। রক্তও প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। কিন্তু সন্তান প্রসবের আগে ও পরে রুগিণীর রক্তের প্রয়োজন হয়নি। সে সময় রিমা সাহা এক কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছিলেন।
প্রায় দুই বছর পর পূণরায় সন্তান সম্ভবা রিমা সাহাকে গত ২৬ ডিসেম্বর নারায়ণগঞ্জের কালীরবাজারস্থ চারারগোপের মেডিপ্লাস হসপিটালে ভর্তি করা হয়। স্ত্রী ও প্রসূতী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ উম্মে সালমা চৌধুরী’র(শান্তা) তত্ত্বাবধানে রোগিনীর পরামর্শে রক্ত পরীক্ষা করানো হয় পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। এখানে রক্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয় ‘ও’ পজিটিভ। ডাঃ শান্তার পরামর্শে পূনরায় একই রক্ত পরীক্ষা করানো হয় তৃতীয় একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। সেখানেও রিপোর্ট আসে ‘ও’ পজিটিভ। ডাঃ শান্তার আশংকা ছিল ‘এবি’ পজিটিভ রক্ত নিয়ে। কারণ, এই গ্রুপের রক্ত পাওয়া সহজ নয়। যা হোক নারায়ণগঞ্জের প্রসূতী রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ উম্মে সালমা চৌধুরীর(শান্তা) সতর্কতা অবলম্বনের ফলে রোগিনী সম্ভাব্য এক বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন। উল্লেখ্য, রিমা সাহার ছেলে সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে।
এদিকে চাঁদপুরের গ্রীণ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের প্যাথলজিষ্ট ডাঃ এস এম সহিদউল্লাহকে সেল ফোন করা হলে ফোন রিসিভ করে জনৈক রিপন। এ প্রতিবেদককে বলেন, প্যাথলজিষ্ট বাইরে আছেন, তিনিই প্যাথলজি ডিপার্টমেন্টের সবকিছু দেখাশোনা করেন। ২৬ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি এ দায়িত্ব পালন করছেন। রোগিনী রিমা সাহার রক্ত পরীক্ষার ভুল রিপোর্ট সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘টাইপ মিসটেক হয়েছে। রোগিনীকে পাঠিয়ে দিন আবার পরীক্ষা করে দেব, টাকা নেব না।’