শাহারিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে রাতের আধারে কালোবাজারিদের দুরুত্ব দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। কোর্টগার্ট ও নৌ পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে শহর থেকে দূরে চরাঞ্চালে রাতের আধারে চোরাকারবারীরা জাহাজ থেকে পাম তেল, সয়াবিন, ডিজেল, কোরোসিন সহ বিভিন্ন মাল ট্রলার বোঝায় করে নারায়নগঞ্জ ও ফরিদপুরে নিয়ে বিক্রি করে ল ল টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। বিগত দিনে চোরাকারবারিদের বেশ কিছু চালান কোর্স্টগার্ড আটক করলেও বর্তমানে তারা কৌশল খাটিয়ে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় ধরাছোয়ার বাইরে রয়ে যায়। চাঁদপুরের বেশ কিছু চোরাকারবারি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কারনে তাদের কে নৌ পুলিশ ও কোস্টগার্ড আটক করতে ব্যর্থ। কারণ মেঘনা নদীতে কালোবাজারি করার সময় চোরাচালানীদের কিছু সোর্স পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে পাহাড়া দিয়ে কাজ করায় তাদের কে আটক করতে পারেনা। গত শুক্রবার আমিরাবাদের চোরাকারবারি কানা বাচ্চু ও বিল্লাল মেঘনা নদীতে জাহাজ থেকে ৪৭ ব্যারেল পাম তেল স্টিল বডি ট্রলারে নামিয়ে নারায়নগঞ্জ নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এসময় গভীর রাতে গজারিয়া লালবয়া নামকস্থানে পুলিশ তাদের ৪৭ ব্যারেল পাম তেল সহ ট্রলার আটক করে। পুলিশের জব্দকৃত পাম তেলের মালিক চাঁদপুর শহরের বেশ কয়েকজন চোরাকারবারি। তাদের আটকৃত মাল সহ আসামীদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য গজারিয়া থানা পুলিশ কে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালায়। এভাবেই চোরাকারবারীরা রাতের আধারে ল ল টাকার মাল কালোবাজারি করে ষ্টিল বডি ট্রলার যোগে নারায়নগঞ্জ ও ফরিদপুর বিক্রি করে। কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশের অভিযান রাতে অব্যাহত থাকলে চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম কমে যাবে।