– নদীতে ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষ রক্ষার্থে শুষ্ক মৌসুমে ডাকাতিয়া নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধের দাবিতে মানব বন্ধন ও স্বারক লিপি প্রাধন করা হয়েছে। বুধবার সকাল ১১ টায় ডাকাতিয়া নদীর ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের সাথে জরিত মালিক শ্রমিক একত্রিত হয়ে এই মানব বন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারক লিপি প্রাধন করেন। এছাড়াও মাৎস চাষি নেত্রিবৃন্দ স্বারক লিপির অনুলিপি জেলা মৎস কর্মকর্তা, সদর উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা, উপজেলা মৎস কর্মকর্তা, চাঁদপুর মডেল থার ওসি এবং নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তার বরাবর প্রধধান করেন। সকাল ১০টায় রগুনাথপুর এলাকার ডাকাতিয়া নদীর পাড় থেকে প্রায় পাঁচ শতাধীক মৎ চাষি একত্রিত হয়ে ব্যনার ফেস্টুন নিয়ে নতুনবাজার পুরাণবাজার ব্রিজ পাড়ি দিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এসে মানব বন্ধনে মিলিত হয়। এসময় মানব বন্ধনে খাঁচায় মাছ চাষিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মো. আলমগীর মিয়াজী, মো. সোহেল মিয়াজী, মো. হুমায়ুন কবির বেপারী, আছলাম তালুকদার প্রমুখ। মানব বন্ধন শেষে খাঁচায় ভাসমান মাছ চাহিষদের নেত্রিবৃন্দেরা জেলা প্রশাসক মো. ইসমাইল হোসেনের কাছে স্বারক লিপি প্রধান করেন। স্বারক লিপিতে উল্যেখ করা হয়, নদীতে ভাসমান প্রদ্ধতিতে খাঁচায় মাছ চাষ সর্বপ্রথম চাঁদপুর জেলায় করা হয়। আর এজন্য এই প্রদ্ধতিতে মাছ চাষে চাঁদপুর জেরা সারা বাংলাদেশের মডেল হওয়ার গৌরব আর্জন করেছে। ২০০৯ শালে তত কালিন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা হেলিকাপ্টারে চড়া আবস্থায় এই মাছ চাষ প্রদ্ধতি দেখে আনন্দিত হয়ে মৎস বিভাগকে এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন জেলাতে মাছ চাষ করার নির্দেশ প্রধান করেন। আর তখনি মৎষ বিভাগ এই প্রদ্ধতিটি আমালে নিয়ে বিভিন্ন জেলা তা ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে করে দেশের মাছের চাহিদা মিটাতে এই পদ্ধতিটি বিশেষ ভুমিকা রাখছে। বর্তমানে চাঁদপুরে প্রায় ৫০জন মৎস চাষির প্রায় ৩হাজার খঁাঁচা রয়েছে। আর এসব খাঁচা তৈরী করতে তাদে প্রায় কোটি টাকা খরচ হয়েছে। স্বারক লিপিতে আরো উল্যেখ করা হয়, এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে বিভিন্ন জেলার মৎস চাষিরা যখন লাভবান হচ্ছে তখন আমরা শুধুমাত্র ডাকাতিয়া নদীতে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের জন্য ক্ষতির সম্মুক্ষিন হচ্ছি। অথচ যেখানে আমরা ক্ষতির সম্মুক্ষিন সেখানে উল্টে লঞ্চ মালকরা আমাদেও এই খঁচায় ভাসমান মাছ চাষ বন্ধের ষড়যন্ত করছে। কতিপয় কিছু লঞ্চ চালক ভাসমান খাঁচায় মাছ চাষের খাঁচা গুলো আপসাণ করার জন্য নৌ-বন্ধর ও পরিবহন কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন, যা আত্যন্ত দুঃখজনক। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি লঞ্চের আঘাতে খাঁচার জাল ছিড়ে যাওয়া, খাঁচা নষ্ট হওয়াসহ নদীতে মাছ চলে যাওয়ার ঘটনা ও ঘটেছে। এতে আমার লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুক্ষিণ হলেও তারা আমাদে নাম মাত্র ক্ষতিপুরণ দিয়েছেন। এছাড়াও শীতকালীন সময়ে শুষ্ক মৌসুমে নদীর নব্যতা কমে যাওয়ায় আর ঘনকুয়াশার কারনে দুই-লঞ্চ মুখোমুখি সংঘর্ষেও ঘটনা ও প্রায় ঘটে থাকে। স্বারক লিপিতে উল্লেখ্যিত বিষয় বিবেচনা করে জেরা প্রশাসককের প্রতি ১লা ডিসেম্বর তেকে ২৮ ফেব্রুয়ারী ডাকাতিয়া নদীতে যাত্রী বাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা দাবি করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা ক্যাব সভাপতি জীবন কানাই চক্রবর্তি, ভাসমান পদ্ধতিতে খাঁচায় মাছ চাষ মালিক, মো. নুরে আলম পাটোয়ারী, মো. ইউনুছ গাজী, ফারুক উদ্দিন, মো. জহির খাঁন, সামসুল আলম, মো. শাহ্আলম, সাহানাজ আলমগীর প্রমুখ।
শিরোনাম:
শুক্রবার , ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ , ২ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এই ওয়েবসাইটের যে কোনো লেখা বা ছবি পুনঃপ্রকাশের ক্ষেত্রে ঋন স্বীকার বাঞ্চনীয় ।