শাহরিয়ার খান কৌশিক ॥
চাঁদপুর শহরের তালতলা বকাউল বাড়ী রোডে বিয়ে পাগল আবু সুফিয়ান পাঠান নামে এক প্রতারক যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী ও শ্বশুরকে ছুড়িকাঘাত করে আহত করেছে। স্থানিয়রা ঘাতক স্বামি আবুকে আটকে রেখে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। গুরুতর আহত অবস্থায় আহতদেরকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়েছে। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় ঘাতকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চাঁদপুর সদর উপজেলার পশ্চিম সকদি সাহেববাজারের মৃত আবুল হোসেন মাষ্টারের ছেলে আদম বেপারী আবু সুফিয়ান পাঠানের খপ্পরে পরে অসহায় পরিবারটি নিস্বঃ হয়ে গেছে। বিয়ের পর গত এক বছরে তাদের সংসারে একটি ২ মাসের শিশু সন্তান রয়েছে। আজ সোমবার বিকাল ৩ টায় মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা চাঁদপুর মডেল থানার এসআই আনোয়ার ঘটনা তদন্তে তালতলা বকাউল বাড়ী রোডে রশিদ ভুইয়ার বাড়ীতে যান। ঘটনার বিবরনে জানাযায়, বাগাদী ইউনিয়নের পশ্চিম সকদি সাহেববাজারের আদম বেপারী আবু সুপিয়ান পাঠানের বিয়ের প্রস্তাব নিলে বকাউল বাড়ী রোডের ভাড়াটিয়া আনোয়ার নামে এক ঘটক তালতলা বকাউল বাড়ী রোডের রশিদ ভুইয়ার বাড়ীতে যান। আবু সুফিয়ান সম্পদশালী,ব্যাবসায়ি ও ভালোছেলে এসব বানোয়াট মিথ্যা কথা বলে বকাউল বাড়ী রোডে রশিদ ভুইয়ার একমাত্র মেয়ের সাথে ২৭/১২/২০১৩ সালে কাউকে বুঝতে না দিয়ে দ্রুত প্রতারনা করে বিয়ে দেয়। বিয়ের দিন রাতে আদম বেপারী আবু তার স্ত্রীকে নিজ বাড়ীতে না নিয়ে শ্বশুর বাড়ীতে রাত্রীযাপন করে। ঐ দিন রাত ২ টায় আবু সুফিয়ানের মোবাইলে জনৈক একটি মেয়ে ফোন করলে তার স্ত্রী ফোনটি রিসিভ করে। এ সময় জনৈক মেয়েটি তার পরিচয় গোপন রেখে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আবু সুফিয়ানকে মোবাইলটি দেওযার জন্য বলে। ঘটানটি সুফিয়ানের নব বধূ জানতে পেরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে তার মোবাইলটি বন্ধ করে শান্তনার বাণি দেয়। এ ঘটনা সুফিয়ানের বড় বোনের জামাই ফরিদগঞ্জের তাজূরকে জানালে সে পরের দিন এসে উভয়কে নিয়ে সমাধান করে দেয়। কিন্তু একের পর এক থলের বিড়ালের মতো বেড়িয়ে আসে তার আসল চেহারা। বিয়ের কিছুদিন পর সুপিয়ান ঢাকা থেকে তার শ্বশুর বাড়ীতে বেড়াতে আসলে কুমিল্লা জেলার আরেকটি মেয়ে তার বিবাহিতা স্ত্রী সুফিয়ানের মোবাইলে ফোন করে। ঐ দিন সুফিয়ান টয়লেটে যাওযায় মোবাইলটি তার নব বধু স্ত্রী রিসিভ করলে একইভাবে ঐ মেয়েটি সুফিয়ানের স্ত্রী পরিচয় দেয় এবং তার একটি স্াজ্জাদ নামে সন্তান রয়েছে বলে জানায়। তেমনি এরকিছুদিন পর নোয়াখালি লিজা নামের আরেক মেযের সাথে সুফিয়ান মোবাইলে কথা বলার সময় তার স্ত্রী বুঝতে পেরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে তার সাথে সম্পর্ক রযেছে বলে স্বিকার করে। ২০১২ সালে নোয়াখালির লিজাকে বিয়ে করে আমেরিকা যাওয়ার জন্য এম্বাসিতে যায়। লিজার মামা আমেরিকার থাকার সুবাধে তাদের দুজনকে বিদেশ নিয়ে যাওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু আবু সুফিয়ানে বিিিভন্ন জেলায় বিয়ে করার ঘটনাটি জানতে পেরে পরে লিজা তার সাথে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে। ২০০৮ সালে আবু সুফিয়ান ঢাকায় গিয়ে আদম ব্যবসা শুরু করে। সেখানে খথাকা অবস্থায় চা^ঁদপুরের অনেক লোককে বিদেশ নেওয়ার নামে প্রতারনা করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। এছাড়া বিভিন্ন জেলার মেয়েদেরকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। সে মানুষের টাকা দিতে না পারায় দীঘূ ৫ বছর যাবৎ বাড়ীতে না যেতে পেরে চাঁদপুরে বকাউল বাড়ী রোডের রশিদ ভুঈযার মেয়েকে প্রতারনা করে বিয়ে করে। আদম ব্যবসা করার নামে শ্বশুরের কাছ থেকে কযেকটি কিস্তিতে ১০ লক্ষ টাকা ধার নেয়। গত সোমবার সুফিয়ান চাঁদপুরে শ্বশুর বাড়িতে দুই ভাই আবুল খয়ের পাঠান ও আক্তার হোসেন পাঠানকে নিয়ে এসে রাতে তার স্ত্রীকে আরো ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এ সময় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে প্রতারক আবু সুফিয়ান পকেট থেকে ছুড়ি বের করে তার স্ত্রীকে ছুড়িকাঘাত করে। মেয়েকে বাচাতে রশিদ ভূইয়া এগিয়ে আসলে তাকে একি কায়দায় ছুরির আঘাত করে আহত করে। এ সময় তাদের চিৎকারে করলে প্রতারক আবু ও তার দুই ভাইসহ পুনরায় তাদেরকে মারধর করে।খবর পেয়ে আশে পাশের লোকজন এসে ঘাতক আবু সুফিয়ানকে আটক করে থানায় খবর দেয়। মডেল থানার এস আই জাকির সঙ্গিয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক আবু সুফিয়ান পাঠানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় একটি দালাল চক্র তাকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য বাদিকে হুমকি ধমকি দিয়ে পরবর্তীতে থানায় বসে সমস্যা সমাধেনের করবে জানিয়ে পুলিশের কাছ থেকে আসামী ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ঘাতক আবু সুফিয়ান পাঠান ও তার দুই ভাই আবুল খায়ের পাঠান এবং আক্তার হোসেন মুসলেখা দিয়ে থানা থেকে মুক্তি পায়। কিন্তুু তারা সমস্যা সমাধের না করে পুনরায় রশিদ ভূইয়া ও তার মেয়েকে হুমকি ধমকি দেয়। এই পরিবারটি নিরাপত্তার হিনতার কারনে গত শনিবার রাতে ঘাতকদের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জের রাজনৈতিক দলের নাম ধারি নেতা পরিচয়ে কালু পাটোয়ারী আসামী না ধরার জন্য থানা পুলিশকে চাপ প্রয়োগ করে। এছাড়া ঘাতকরা তার আত্বীয় বলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষের কাছে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে প্রকৃত ঘটনা আরাল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।