প্রতিনিধি
চাঁদপুরের দেড়শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সাথে চট্টগ্রামের রাউজান ও শিকলবাহা এলাকায় দুটি পাওয়ার প্লান্টেও বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এ দুটির প্রতিটি ১শ’ ৮০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। তবে এই তিনটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কতো দিন বন্ধ থাকবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তার কারণ হিসেবে জানা গেছে, চট্টগ্রামে ইউরিয়া সার কারখানায় সার উৎপাদন কাজে গ্যাস সরবরাহের কারণে এ ক’টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে এই ক’টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। এটি সরকারের নীতি নির্ধারণী মহল এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মতেই হয়েছে। চাঁদপুর দেড়শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, গ্রীড স্টেশন ও চাঁদপুর বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড অফিসে যোগাযোগ করে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ক’ দিন যাবৎ চাঁদপুরে অস্বাভাবিক লোডশেডিং চলছে। শহরেই দৈনিক ৮/১০ বার লোডশেডিং দেয়া হয়। গ্রামের অবস্থা আরো শোচনীয়। হঠাৎ লোডশেডিংয়ের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেলো, চাঁদপুরের দেড়শ’ মেগাওয়াটসহ চট্টগ্রামের ২টি পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চাঁদপুর দেড়শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে গিয়ে কথা হয় এর ম্যানেজার ইঞ্জিনিয়ার মোঃ নজরুল ইসলামের সাথে। তাঁর কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তিনি আরো জানান, গ্যাস সঙ্কটের কারণে পাওয়ার প্লান্ট ক’টি বন্ধ থাকায় সারাদেশে এখন এক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। চাঁদপুরও এর আওতায়। কতোদিন যাবৎ এসব প্লান্ট বন্ধ থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এর নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। গত বছরও এ সময় থেকে পরের বছরের মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ছিলো। অর্থাৎ সার কারখানায় যতোদিন সার উৎপাদন কাজে গ্যাস সরবরাহ থাকবে ততোদিন এ ক’টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ দেয়া যাবে না। সে কারণে প্লান্টি বন্ধ থাকবে। এটি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত।
চাঁদপুর গ্রীড স্টেশনে যোগাযোগ করে জানা গেছে, বর্তমানে চাঁদপুর জেলায় বিদ্যুতের চাহিদা হচ্ছে পিক আওয়ারে ১শ’ ৫ মেগাওয়াট, পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ৪৫ মেগাওয়াট। আর অফ পিক আওয়ারে চাহিদা ৭০ থেকে ৭৭ মেগাওয়াট, পাওয়া যাচ্ছে সর্বোচ্চ ৩৫ মেগাওয়াট। বিদ্যুতের এ সঙ্কটের কারণে এখন পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ উভয় লাইনেই মারাত্মক লোডশেডিং হচ্ছে।