দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটি আসনে একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী থাকলেও ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের আসনে তাঁর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। অর্থাৎ এ আসনে তিনি ছাড়া আর কেউই মনোনয়নপত্র জমা দেননি। আর বাকি চারটি আসনে মোট নয়জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল ২ ডিসেম্বর ছিলো মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যে এ সংখ্যা জানা গেছে।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার জন্যে চাঁদপুরের পাঁচটি আসনে যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাঁরা হচ্ছেন : চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, চাঁদপুর-২ (মতলব উত্তর-দক্ষিণ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও জাতীয় পার্টি মনোনীত এমরান হোসেন মিয়া, চাঁদপুর-৩ (সদর ও হাইমচর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ডাঃ দীপু মনি এবং স্বতন্ত্র পরিচয়ে আলহাজ্ব অ্যাডঃ ইকবাল-বিন-বাশার ও মমিন উল্যাহ পাটওয়ারী বীর প্রতীক, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া ও জাতীয় পার্টি মনোনীত মাঈনুল ইসলাম মানু এবং চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ও জাতীয় পার্টি মনোনীত খোরশেদ আলম খুশু। এঁদের মনোনয়নপত্র বাছাই হবে আগামী ৫ ও ৬ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং অফিসার তথা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে।
এ দিকে চাঁদপুর-১ ও চাঁদপুর-৩ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়া অধ্যাপক ডাঃ একেএসএম শহীদুল ইসলাম ও এসএমএম আলম মনোনয়নপত্র তুললেও তারা শেষ পর্যন্ত জমা দেননি। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বেশ উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। চাঁদপুর-৪ আসনের প্রার্থী ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া মোটর সাইকেলের বিশাল বহরসহ নেতা-কর্মীদের নিয়ে ব্যাপক শোডাউন করে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে বিএনপি এ নির্বাচনে না আসায় নির্বাচন নিয়ে কোনো উত্তাপ নেই এবং সাধারণ ভোটারের মাঝেও কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই।